মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন

সরকারি কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
বিভিন্ন অরিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও চার ঠিকাদারসহ ৮ জনের পরিবারের সদস্যদের নামে স্থাবর- অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নোটিশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে তাদেরকে সম্পদের হিসেব দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদকের নোটিশ প্রাপ্ত ওই ৮ জন হলেন, যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, গণপূর্তের সার্কেল-৪ এর উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর কর্মকর্তা শেখ কুদ্দুস আহমেদ, মুন্সীগঞ্জের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, চট্টগ্রামের পটিয়ার ঠিকাদার নুর উর রশীদ চৌধুরী এজাজ, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ঠিকাদার জাকির হোসেন ও ঠিকাদার আব্দুস সালাম।

রোববার (১৮ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে ওই ৮ জনের সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি অরো বলেন,
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে নোটিশ প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরই এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের সই করা নোটিশে ওই ৮জনকে ও তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে, বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরো জানা যায়, ওই ৮ জন সহ আরো বেশ কয়জনের বিরুদ্ধে বিদেশে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে দুদকে। দুদক ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ জনের তালিকা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গ্রেপ্তার হন। এর ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২২ মামলা দায়ের করে দুদক।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন, ঠিকাদার জি কে শামীম ও তার মা, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূইয়া, কলাবাগান ক্লাবে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা,কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, ব্যবসায়ী মো. সাহেদুল হক, এনআর গ্লোবালের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী মোছা. জেসমীন পারভীন ও গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৈাশলী উৎপল কুমার দে।

কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। #


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:২২ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০২ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩০ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৪ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12