দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ ও তার ̄স্ত্রী আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ ̈ গোপনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দুইটি দায়ের করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দুইটি রেকর্ড করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সম্পদের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি নিজ নামে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ২ হাজার ২০৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ ̈ গোপন করেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৩ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার ১০১ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অবৈধভাবে অর্জিত ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা গোপন করার জন্য ব্যাংক থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানান্তরের প্রমাণ পেয়েছে। যার পক্ষে তিনি কোনো দলিল দেখাতে পারেননি।
প্রকৌশলীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা:
অপরদিকে সওজের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম ইকরাম উল্লাহের স্ত্রী আসামি আতিকা খাতুনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে আতিকার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে।
আসামী আতিকা খাতুন দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার নিজ নামে ৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার ৯২৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ ̈ গোপন করেছেন। অথচ অনুসন্ধানে আতিকার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৭২ হাজার ১১৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। #