আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র। আজ রোববার নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের বৈঠক শেষে এক টুইট বার্তায় এমন কথা উল্লেখ্য করেছেন।
প্রিয়াংকা গান্ধী তার করা টুইটে উল্লেখ্য করেছেন, শেখ হাসিনার বৈশিষ্ট্য হলো তিনি যা বিশ্বাস করেন সেটির জন্য সাহস ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে লড়াই করা। তিনি লিখেছেন,‘শেখ হাসিনাজির কাছ থেকে প্রতীক্ষিত আলিঙ্গন পেলাম। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে পুনরায় সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলাম।
স্বজন হারানো ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় তার শক্তি এবং যা বিশ্বাস করেন সেটির জন্য সাহস ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে তিনি সব সময় আমার কাছে বড় ধরনের অনুপ্রেরণা।’এর আগে কংগ্রেস নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধী ও আনন্দ শর্মা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে কংগ্রেস নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ৫ অক্টোবর দিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২০৩০) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে ৩ অক্টোবর সকাল ৮টায় দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করবে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় নয়াদিল্লী পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে বাংলাদেশের ওপর কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ডায়ালগে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী একইদিন বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে এক সংবর্ধনা এবং বাংলাদেশ হাউজে তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন। বাংলাদেশের হাইকমিশনার এই নৈশভোজের আয়োজন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড এক্সচেঞ্জের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন। ভারত সফররত সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেঙ সোয়ে কীট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
৫ অক্টোবর শনিবার ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। একইদিন কয়েকটি বিনিময় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দুই প্রধানমন্ত্রী হায়দ্রাবাদ হাউজ থেকে যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এরআগে, একইদিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এস জয়শংকর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা হায়দ্রাবাদ হাউজে আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করবেন।
এ সফরকালে ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শ্যাম বেনেগাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছেন। শেখ হাসিনা ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।