দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
বিজয়ের মাসে ডিসেম্বর। আগামীকাল শনিবার ( ১৭ ডিসেম্বর) এক উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) শ্রমিক কর্মচারী লীগের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। রাজধানীর মিরপুরে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় -৪ এ এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্করের পাশে এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি একটি মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে।
এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন এই আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনীরুজ্জামান। তার নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে আরো দুইজন উপ করকর্মকর্তা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তারা ইতোমধ্যে একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন। ফলে রাত পোহালেই শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হবে।
এদিকে ডিএনসিসির শ্রমিক কর্মচারী লীগের এই নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ মনীরুজ্জামন জানান, এই নির্বাচনকে সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে সাধারণ কর্মচারীারাও বেশ খুশি। তারা পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিবেন।
এবার শ্রমিক কর্মচারী লীগের এই নির্বাচনে সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৭টি পদে দুইটি প্যানেলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এর বাইরে কার্যকরী সভাপতি পদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সবাই।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিএনসিসির শ্রমিক কর্মচারী লীগের নির্বাচনে বর্তমান কমিটির সভাপতি- বজলুল মোহাইমিন (বকুল), কার্যকরী সভাপতি- মো. হারুন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক- মাহমুদুল হাসান রোকনের নেতৃত্বে, ৬ জন সহ সভাপতি- মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ মাছুম হোসেন, আবদুল ওয়াহেদ খান (বাদল), আব্দুস ছালাম মৃধা, খন্দকার বাবুল,মিজানুর রহমান টিটু,২ জন যুগ্ম সম্পাদক- মো. ফরহাদ আলী, মো. জামাল, ২ জন সহ সাধারণ সম্পাদক- মো. নুর হোসেন, মো. শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক-মাসুদ কাজী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক-মো. শরীফুল আলম, অর্থ সম্পাদক-মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক- শাহরিয়ার রায়হান , সহ দপ্তর সম্পাদক- নাজমুল হুদা সাগর, প্রচার সম্পাদক- মো. মোফাজ্জল হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক- মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া সম্পাদক- মো. আমান উল্লাহ,সাংস্কৃতিক সম্পাদক- লিয়াকত হোসেন,শ্রম ও আইন বিষয়ক সম্পাদক- মোহাম্মদ ওয়াজেদ শেখ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- এইচ এম নুরুজ্জামান বাদশাহ, সমাজ কল্যাণ ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- মো. আতিকুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন এবং একজন নির্বাহী সদস্য প্রার্থী-মো. শফিকুল ইসলাম ভুইঁয়া সুজন। কর্মচারী কল্যান পরিষদ নামে ছাতা মার্কায় ২৭ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপর দিকে কর্মচারীদের আরেক পরিচিত মুখ সভাপতি মো. জামাল হোসেন, কার্যকরী সভাপতি- সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদের নেতৃত্বে ’সততা-ঐক্য সমন্বয় পরিষদের নামে বেলচা মার্কায় বিবভন্ন পদে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এর বাইরে আরেক পরিচিত মুখ,মো.জাহিদুল ইসলাম কার্যকরী সভাপতি- পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফুটবল মার্কায় নির্বাচন করছেন।
এবার নির্বাচনে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কমিটির ‘বকুল-হারুন- রোকনের’ নেতৃত্বাধীন’ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে ১২টি অঙ্গীকার নামা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রথমেই রয়েছে, দৈনিক মাষ্টাররোল কর্মচারীদেরকে স্কুেলভুক্ত ও স্কেলভুক্ত কর্মচারীদেরকে স্থায়ী করার ব্যবস্থা করণ। যান্ত্রিক,বর্জ্য ও বিদ্যুৎ সার্কেল কর্মরত কর্মচারী, স্প্রেম্যান,সড়ক শ্রমিক, উচ্ছেদ শ্রমিকদের ঝুঁকিভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করণ। বর্তমানের অর্গানোগ্রাম সংশোধনের ব্যবস্থা করণ।
মাষ্টার রোল কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যাতা ও দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে পদায়নের ব্যবস্থা করা। বাছাই কমিটির ১ ও ২ এর মাধ্যমে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীদের যোগ্যতা অনুযায়ী সকল কর্মকর্ত/ কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা চলমান রাখা ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে জনবল নিয়োগে কর্মচারীদের ছেলে- মেয়েদের পোষ্য কোঠা বাস্তবায়ন করে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা। কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের জন্য মানসম্মত বাসস্থান, স্টাফ কোয়াটার তৈরি এবং কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে পড়া শুনার জন্য স্কুল ও কলেজ স্থাপনের ব্যবস্থা করা।
৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীদের প্রতিবছর পোষাক,ছাতা,জুতা প্রদানের ব্যবস্থা করা। মাষ্টাররোল কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি এক হাজার টাকায় উন্নীত করণের ব্যবস্থা করা। মাষ্টারোল কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকায় উন্নীত, উৎসব ভাতা (বোনাস) তিন হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত এবং মাষ্টারোল কর্মচারীদের অবসরকালে পাওনা ৪ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পাবার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মহিলা কর্মচারী ছোট ছোট সন্তাদের জন্য ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ স্থাপনের ব্যবস্থা করা। আলোচিত বিষয়গুলো ডিএনসিসির জনপ্রিয় ও কর্মকর্তা/কর্মচারী বান্ধব মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সাথে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবার বিষয়টিও তাদের অঙ্গিকার নামায় রাখা হয়েছে।
বকুল-হারুন- রোকনের’ নেতৃত্বাধীন’ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, মেয়র মহোদয়ের নিদেশে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সচিব স্যারের আন্তরিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের জন্য পেনশন প্রথা চালু করা হয়েছে। কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের জন্য মৃত্যুকালীন অনুদান ৮ লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। বীমা দাবী (প্রথা) এক লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া আরো বেশ কিছু কল্যাণকর কাজ করা হয়েছে। # কাশেম