দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় দুইদিনে প্রায় ৫ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত পল্লবী থানা এলাকায় ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) পল্লবী থানার সেকশন-১১ এর এভিনিউ-৩ এর ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশের প্রায় চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জানা যায়, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল ২) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেছেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোঃ মোজাম্মেল হক,সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু, পুলিশ প্রশাসের কর্মকর্তা ,বর্জ ব্যবস্থাপনার বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা।
এদিকে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে গত ৪৯ বছর যাবৎ এই রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। অনেকবার চেষ্টা করার পরেও দখলমুক্ত করা যায়নি।
অবশেষে টানা দুইদিনের অভিযানে সড়কটি আমরা দখলমুক্ত করলাম, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এখান থেকে এয়ারপোর্ট হয়ে উত্তরার দিকে যাওয়ার জন্য একটিমাত্র সড়ক ছিল, কালশী সড়ক। কালশীর সাথে সাথে এখানে আরেকটি প্যারালাল রোড হতে চলছে। এটি সর্বোচ্চ ৭৫ ফিট এবং সর্বনিম্ন ৬০ ফুট চওড়া হবে। মিরপুর ১১ নম্বর বাস স্ট্যান্ড থেকে এটি দুই কিলোমিটার সড়ক হবে।
মেয়র আরো বলেন, এখন সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন , দুর্নীতি এবং অবৈধ দখলদারদের জন্য জিরো টলারেন্স। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দেওয়ার জন্য, নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার জন্য, যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।
মেয়র বলেন, অন্যান্য এলাকায়ও “যারা অবৈধভাবে জায়গা দখল করে আছেন, তারা দয়া করে নিজেরা সরে যান। তাদেরকে আমি কোন ধরনের নোটিস দেবো না। আমি যাব এবং অবৈধ দখল ভেঙ্গে দেব”।
উচ্ছেদ অভিযান সফল করায় আতিকুল ইসলাম সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেন, “ধন্যবাদ জানাই এই এলাকার জনগণকে, তারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠন সম্পুর্ন সমর্থন দিয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অভিযানে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে”। তিনি আরো বলেন, “অনেকেই বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকে, তারা দখল করে রাখেন। কিন্তু এখানে আমরা একেবারেই ভিন্ন চিত্র দেখেছি। #