দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চান। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বার্ষিক (২০১৯-২০) গবেষণা অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ২০২০-২১ সালের পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ.ম. রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলন, ‘আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই। দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করার খাত হবে মৎস্য খাত। সেটা কীভাবে করা যায়, সেজন্য পরিকল্পনা করতে হবে। গবেষণার ফল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলে তারা এ খাতে কাজ করতে আরো উৎসাহ পাবে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। করোনাকালে পোশাক শিল্প, প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্য খাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যাতে এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।’
বিএফআরআই’র মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্য বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, মৎস্য খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মাছচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্র বিধৌত এই বদ্বীপের গ্রাম-গঞ্জে সৃষ্ট মৎস্য সংকট থেকে দেশকে উত্তরণের জায়গায় নিয়ে এসেছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাছের আকার ও স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। মাছের অভায়শ্রম বাড়াতে হবে। অভায়শ্রমে মা ও পোনা মাছ ধরা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে।’
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী ইনস্টিটিউটের কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় ইনস্টিটিউটের ৪৮টি গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং মৎস্য খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মাছচাষিদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে দেশের চাহিদার আলোকে ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ অর্থবছরের গবেষণা কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।#