দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীতে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ঢাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া অংশে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ও কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন দাস, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আজিজুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর পিতা বলেন, ‘মেয়র হানিফ ওড়ালসেতুর নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখল মুক্ত করে ওড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা৮টি অংশে (উড়ালসেতুর নিচের অংশকে) বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই ৮টি অংশেই আমরা এখানে খুব দ্রæতই কাজ শুরু করব।’
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনও ধরনের অবকাঠামো চায়, এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনও কার্যক্রম নেওয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে আগাচ্ছি। হয়তোবা একটু সময় নিবে। কিন্তু যখন এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।’
পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেলো। এখানো স্থানান্তরিত হয় নাই।
আমি আশা করব যে, এই ফেব্রæয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমাদের শ্যামপুর শিল্পা লে সেজন্য ঘর/গুদাম করা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিকভাবে স্থানান্তর হওয়ার কথা। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এসব গোডাউন স্থানান্তরে চাপ দিচ্ছি। সেটি হলে পুরাতন ঢাকার বিপদজনক কেমিক্যাল গোডাউনের বিপদ থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পাবে।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ তাপস বলেন,‘ বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আজকেই সেখানে যান তাহলে দেখতে পাবেন যে, অত্র এলাকার সকল মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়াদাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেওয়া হয়েছে।
সেখানে একটি আদালত রয়েছে। সেখানে বিশাল জনসমাগম হয়। আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। আমরা এখন সেখানে বেষ্টনী দেবো এবং দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনও সুযোগ নেই।’
এর আগে মেয়র শেখ তাপস সবুজবাগের মানিকদিয়া ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। # কাশেম