দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর মালিবাগের ফরচুন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪১৩ টাকা লুটের অভিযোগ করেছে ফরচুন দোকান মালিক সমিতির কর্মকর্তারা। জটিলতা নিরসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দোকান মালিকরা।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফরচুন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. মুখলেছুর রহমান, দৈনিক জরুরী সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. হুমায়ুন কবীর, ফরচুন দোকাল মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও রমনা ও হাতিরঝিল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্জ্ব মোখলেসুর রহমান, ফরচুন শপিং মলের পরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়াসহ অন্যান্যরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ফরচুন ফাউন্ডেশন লিমিডেটেডের পরিচালকবৃন্দ ফরচুন শপিং মল দোকান মালিক সমবায় সমিতি নামে একটি তাদের পছন্দের এবং বাইরের লোকজনকে ভুয়া কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা ফাউন্ডেশনের অন্তর্ভূক্ত। কিন্ত ওই কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে অধিকাংশ সদস্য ফরচুন শপিং মলের দোকানের মালিক না। দোকান মালিক ছাড়া সমিতি গঠন করা সম্ভব নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির অনুমোদন লাভ করে (ক্রমিক নং-০৪, তারিখ: ২৯/০৭/২০২০ ইং)। এই কমিটির সদস্যরা গত ৬ আগস্ট শপিং মলের সমিতির অফিসে এসে সবাইকে জিম্মি করে তিন কোটি টাকা চাঁদা দাবী করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা লকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ মোট ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৪১৩টাকা লুট করে ও মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচূর করে। এ ঘটনায় রমনা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়, পরে একটি জিডি করা হয় (জিডি নং-২০৫)। এর কয়েক দিন পর থানায় মামলা করতে গেলে থানার পুলিশ কর্মকর্তারা আবেদনকারীদের বলেন , ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলাটি নিয়ে যাবে ।এ কারণে মামলা নিতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পরে ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করা হয়, যা তদন্তের ভার পিবিআই দেয়া হয়েছে। এই দূর্নীতি-অনিয়ম, দখলদারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোড় দাবী জানান অভিযোগকারীরা।/