দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন,লেকের কিনারেও মশা ডিম পাড়ে। ফলে এটাকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি লেকের কিনারে লার্ভিসাইড করা হয়।
পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে পানিতে লার্ভা জন্ম হয় না। এই গুলশান, বারিধারা, বনানী, লেকে আগে প্রচুর কচুরিপানা ছিল, এগুলো আমরা পরিষ্কার করেছি।
মেয়র বলেন, ১ হাজার ২০০ মশক নিধনকর্মী ঠিকভাবে কাজ করছে কি না ,তাদের মনিটরিং করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এজন্য মশক নিধন কর্মীদের ফাাঁকিবাজি প্রতিরোধে রমজানের পরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের হাজিরা নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ)বিকেল ৫টায় গুলশান ৫৫ নম্বর সড়কে মশক নিধন অভিযান পরিদর্শন বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, “এই যে সমস্ত অঞ্চল থেকে মশক নিধনকর্মীদের একটি অঞ্চলে নিয়ে আসছি।
আজকের অভিযানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম গনি তাপস উপস্থিত ছিলেন।
গত চারদিন যাবৎ দিনব্যাপী দুই শীপ্টে চলমানসমন্বিত অভিযান মশক নিধন কার্যক্রম চলছে।
আজ পরিদর্শনে গিয়ে গুলশান বাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাটে হাজির হন ডিএনসিসির মেয়র।
আজ মহাখালী অঞ্চল-৩ এ অভিযানকালে গুদারাঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে মেয়র বনানী ১ নম্বর রোডে ন্যাম ভিলেজের পিছনে চেয়ারম্যান বাড়ি লেক পরিদর্শন করেন।
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, “লেকের কিনারে মশা ডিম পাড়ে। আজকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি লেকের কিনারে যাতে লার্ভিসাইড করা হয়। পানির প্রবাহ ঠিক থাকলে সে পানিতে লার্ভা জন্ম হয় না।
গুদারাঘাটে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মেয়র দেখতে পান যে, ফুটপাত দখল করে দুইটি হোটেল ব্যবসা করছে।
ফুটপাত থেকে এসকল অবৈধ স্থাপনা তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করার নির্দেশ দেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মশক কর্মীদের ট্রেনিং দিতে হবে। যাতে তারা কাজটি ভালোভাবে, কার্যকরভাবে করতে পারে।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এই শহরটা ঠিক করার জন্য আমরা সবাই একসাথে কাজ করব এবং সবাই যদি একটু একটু করে কাজ করে আমরা কিন্তু মশক থেকে অনেক অংশে নিস্তার পাব”। এই অভিযান আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। / প্রেস বিজ্ঞপ্তি