দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, চমৎকার পরিবেশে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সবাই ভোট দেওয়ার পরিবেশ আমরাই সৃষ্টি করেছি । প্রথমবারের মতো শতভাগ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের এই ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয় সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন,জনসমর্থনের প্রতি তোয়াক্কা না করা বিএনপির জন্মগত মৌলিক বৈশিষ্ট্য । তিনি বলেন, ‘ভোটাধিকার জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিগত দিনগুলোতে আমরা দেখেছি, জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে বিএনপি-জামাত চক্র ছিনিমিনি খেলেছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করে না, তারা প্রযুক্তির বিপক্ষে কথা বলে। কারণ প্রযুক্তির বিকাশের মধ্যেই স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনগণের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র দখল করে, সিল পিটিয়ে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার সুযোগ ইভিএম পদ্ধতিতে নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আমার ভোট আমি দেব, যাকে পছন্দ তাকে দেব। এই নিয়মে ভোট চলছে এবং সেভাবে ভোট হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ সবাই ভোট দিতে পারছে, সেই পরিবেশ আমরাই সৃষ্টি করেছি। প্রত্যেকে যার যার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।’
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে নানক বলেন, ‘বিএনপি এজেন্ট বেড় করে দেয়া হয়েছে এটা তাদের পুরোনো রেকর্ড। আপনারা ( সাংবাদিক) লক্ষ্য করেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন চিরাচরিত মিথ্যাচার দিয়ে দিন শুরু করেছেন।
তিনি নিজে গোপীবাগ শহীদ শাহজাহান প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন। সেই কেন্দ্রে তিনি যখন ভোট প্রদান করেন তখন তাদের পোলিং এজেন্ট ছিল না। অথচ তারা বায়বীয় কায়দায় মিথ্যাচার করছে যে, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন যে, ভোট শুরু হওয়ার আগেই ইশরাক বলেছিলেন-আহত বা নিহত যা-ই হই, ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করব না। যেখানে নিজেদের পোলিং এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারে নাই। সেখানে আগে থেকেই আহত বা নিহত হওয়ার কথা বলে মাঠ গরম করার মধ্য দিয়ে নির্বাচন বানচাল করার দুরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছি, বিএনপি ঢাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসী-ক্যাডার বাহিনী এনে ঢাকায় জড়ো করেছে। তারা গন্ডগোল পাকিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ফায়দা লোটার ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। জনগণ বারংবার বিএনপি-জামাত চক্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই জনগণের ওপর তাদের আস্থা নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।’
কূটনীতিকদের সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। কূটনৈতিক মিশনগুলো থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি দেশি পর্যবেক্ষক নিয়ো দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক নিয়োগে আন্তর্জাতিক বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন । বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরিরত বাংলাদেশিদের বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে মনোনীত করে কূটনৈতিক মিশনগুলো সঠিক করেননি। #