বিশেষ প্রতিনিধি, দূরবীণ নিউজ :
অবিলম্বে ‘ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল এবং কলেজের’ দলবাজ, সন্ত্রাসী প্রিন্সিপালকে অপসারণপূর্বক একজন ন্যায়-নিষ্ঠাবান, ভদ্র, আদর্শবান, সৎ, নির্ভিক ও নির্দলীয় শিক্ষককে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত’ ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের’ প্রিন্সিপালের ফোনালাপের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের মতো এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও সরকার চরম দলীয়করণ এবং অনুগত অযোগ্য ও সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের বসিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রিয় দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভিকারুননিসা নুন স্কুল এবং কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে অতীতে স্বনামধন্য, যোগ্য শিক্ষকরাই দায়িত্ব পালন এবং দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে, বর্তমান সরকারের আমলে শুরু থেকেই ক্রমাগত নির্লজ্জ দলীয়করণ, ভর্তি বানিজ্য, অনিয়ম, দুর্নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের মান-মর্যাদা ধুলিস্যাত করে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপালের মতো দায়িত্বশীল পদে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী-ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্রকাশিত ফোনালাপেই বোঝা যায়-কি তার পরিচয়! কি তার চরিত্র! এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। এই দলবাজ, সন্ত্রাসী মহিলা যিনি কথায় কথায় ক্ষমতার দাপটে অস্ত্র ও লীগ নামধারী সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি দেয়। প্রকাশের অনুপযোগী অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন, তার হাতে শিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রী, অভিভাবকসহ কেউই নিরাপদ নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলবাজ সরকার দলীয় আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখতে ‘লেডি সন্ত্রাসী’ বসিয়ে এই স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “ভিকারুননিসা নুন স্কুল এবং কলেজকে” ধ্বংস ও ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চায়। ভোটবিহীন সরকারের চরিত্র, ভাষা, ব্যবহার যে ধরণের, তাদের পছন্দের ব্যক্তিরাও একই ধরণের হবে-এটাই স্বাভাবিক।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই একই অবস্থা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমুহে দলীয় অনুগত, এমনকি নৈতিক স্খলন ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদেরকে ভিসি বা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মর্যাদা ও শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে।
এডিজেড/একে/ দূরবীণ নিউজ।