দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
ভারতে কেরালায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি মালয়েশিয়া থেকে অসুস্থ হয়ে কোচি ফিরলে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
রোববার (১ মার্চ) এই জানিয়েছে এরনাকুলামের এক হাসপাতাল। খবর এনডিটিভি’র।
জানা গেছে, একাধিক ব্যাধি নিয়ে এরনাকুলামের এক হাসপাতালে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণ হিসেবে ভর্তি করা হয়েছিল সেই যুবককে। চলছিল তার চিকিৎসাও। হাসপাতাল সূত্রে খবর মৃতের রক্ত পরীক্ষা করে করোনার অস্তিত্ব মেলেনি।
তবে, আরো নিশ্চিত হতে তার শরীরের কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়াতে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। চীনে এই ভাইরাসে মৃত বেড়ে ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৮০ হাজার।
এরনাকুলাম হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসজনিত অসুখ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই যুবক। তিনি ডায়াবেটিক রোগী ছিলেন।
কেরালায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তিন জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার পর তাদের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ওই তিন জনকে।
পাশাপাশি উহান থেকে দেশে ফেরা প্রায় ৪০০ জনকে মানেসারের বিশেষ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল ২ সপ্তাহ। তাদের নমুনাতে ভাইরাসের অস্তিত্ব না মেলায়, ছাড় পেয়েছেন ওই ৪০০ জন।
শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে বিপর্যয় ঘোষণা করে অনিয়ন্ত্রিত আখ্যা দিয়েছে। কারণ সাহারা মরুভুমি এলাকাতেও ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী মন্দা বাজারের নেপথ্যেও এই ভাইরাস। একমাত্র মেরু অঞ্চল ছাড়া এই গ্রহের প্রায় সব মহাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।
উত্তর কোরিয়াতে আবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভাইরাস আক্রান্তদের গুলি করে মারার ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশের প্রশাসক কিম জং উন। বড় জমায়েত এবং করোনা আক্রান্ত দেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কয়েকটি রাষ্ট্র।
অনিশ্চিত টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ। হু এবং চীনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ গবেষণা দাবি করেছে, মানব-মানব দেহে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে পরিবার।
৪-৫ দিনের মধ্যেই করোনা উপসর্গ ধরা পড়ছে। সেই সময় থেকে চিকিৎসা শুরু করলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। দাবি করেছে ওই যৌথ গবেষণা।
তবে প্রবীণ নাগরিক, বয়স ৬০-এর উপরে এবং যারা হাইপার টেনশন সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক এবং মৃত্যুর কারণ। #