দূরবীন নিউজ ডেস্ক:
এবার ভারতের বিরোধীদলগুলো একজোট হচ্ছে ! ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে বসল বিরোধী-বসন্তের মেলা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে তৈরি হল বিরোধী ঐক্যের ফ্রেম। খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
গত ২৮ ডিসেম্বর বিকালেই রাঁচি পৌঁছে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন দেখা গেল একাধিক অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিলেন হেমন্তের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।
উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও পি চিদম্বরম, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, শরিক আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবসহ দলের অন্য নেতারা। বাম দলের পক্ষ থেকে ছিলেন সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজা।
এনডিটিভি জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল হেমন্তের শপথগ্রহণ মঞ্চে। কিন্তু শারীরিক কারণে তিনি থাকতে পারছেন না বলে দুপুরে টুইট করে জানান প্রণববাবু। অভিনন্দন জানান শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তকে।
এদিন ঝাড়খণ্ডের ১১তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেন (৪৪)। তার সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেসের দু’জন এবং আরজেডির একজন।
তারা হলেন, কংগ্রেসের আলমগির আলম ও রামেশ্বর ওঁরাও এবং আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তা। রাঁচির মোরাবাদি মাঠে সুবিশাল মঞ্চে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় কংগ্রেস-জেএমএম জোটের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন (বিজেপির) খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। ২৫টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। সেখানে বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬ এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে। জোটের দখলে আসে ৪৭টি আসন। বিজেপি ২০১৪ সালে ৩৭ আসন পেয়ে ক্ষমতায় বসেছিল।
দেশজুড়ে নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্দোলন-বিক্ষোভের আবহে ঝাড়খণ্ডের এই জয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এদিন শপথ নেয়ার আগে হেমন্ত বলেন, এই দিনটাকে সংকল্প দিবস হিসেবে দেখছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, বিজেপির শাসনে রাজ্যের আদিবাসী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে বঞ্চনা হয়েছে, তা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার সংকল্প নিচ্ছেন তিনি। হেমন্ত সোরেন সব ভোটারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেয়ার জন্য।#