দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
এবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট করোনাভাইরাসের আতঙ্কে টানা পাঁচ মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। চীন থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে ইউরোপের দেশ ব্রিটেনেও।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ব্রিটেনের এমপিদের পাঁচ মাস হাউজ অব কমন্সের বাইরে রাখা হতে পারে। এ সময় সংসদের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
একটি সূত্র দ্য টাইমসকে জানিয়েছে, ব্রিটেনে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে বুধবার। এ দিন তা বেড়ে এক লাফে ৫১ থেকে বেড়ে ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ৫ মার্চ সকালে স্কটল্যান্ডে আরো তিনজনের দেহে ওই ভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতিতে পার্লামেন্ট অধিবেশন বন্ধ রাখা হবে কি না সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।
এভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকলে বড় ধরনের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। এর মধ্যে সংসদ অধিবেশন বন্ধ করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এই পার্লামেন্টে প্রতি সপ্তাহে কয়েক শ’ এমপি ও লর্ডস সমবেত হন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ জন সদস্য ওয়েস্টমিনস্টারে জমায়েতের আগে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছেন। জানা গেছে, এপ্রিল মাসে ইস্টার-এর ছুটির পরে এই ‘শাটডাউন’ শুরু হবে। এরপরে সেপ্টেম্বরে আবারো পার্লামেন্ট খুলে দেয়া হবে। এটি হবে ১৯১৪ সালের পর থেকে দীর্ঘতম স্থগিতাদেশ।
তবে লেবার দলের এমপি ক্রিস ব্রায়ান্ট এ ধরনের পরিকল্পনার বিষয়কে নাকচ করে দিয়েছেন। এটিকে তিনি ‘বাজে কথা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ছয় মাসের পার্লামেন্টারি ‘অবকাশের’ এই ধারণাটি বাজে কথা। এটা করা হলে সরকার অর্থ ব্যয় বা আয়কর আদায় করতে পারবে না। তিনি বলেছেন, এ ক্ষেত্রে পার্লামেন্ট কর্তৃক নবায়ন না করে কেবল ২৮ দিনের জন্য জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
আইনটি সংসদে প্রয়োগ করতে রাজা ও স্পিকারকে সামন জারি করতে হবে। চিফ মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস হুইটির পরামর্শের পরে স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এবং লর্ড স্পিকারের দ্বারা পার্লামেন্ট বন্ধ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। # সূত্র : ইয়াহু নিউজ