দূূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদেরকে নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থাকার পাশাপাশি সততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশা করি বিজিবির নতুন সদস্যসহ প্রত্যেক সদস্যই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের সময় নেতৃত্বের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত থাকবেন।’
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি হামিদ চট্টগ্রামে সীমান্তরক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কলেজে (বিজিটিসি এবং সি) প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবির ৯৪তম রিক্রুট ব্যাচের পাসিং আউট প্যারেডে বক্তব্যে এ কথা বলেন। শৃঙ্খলা হচ্ছে সৈনিকের মূল পরিচয় অভিহিত করে হামিদ বলেন, প্রকৃত সৈন্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে কখনই পিছিয়ে থাকে না।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে পাচার রোধে আপনাদের সর্বদা সতর্ক হওয়া উচিত। এজন্য বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও দৃঢ় মনোবল, নির্লোভ ও নির্ভীক থাকতে হবে’।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নতুন সৈনিকদের চরিত্রের সাথে কঠোরতার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলীও বিকাশ করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নির্বিঘ্নে সম্পাদন করতে হবে এবং তাদের পেশাদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি ও চরিত্রের দৃঢ়তা সর্বস্তরের মানুষ প্রশংসা করবে।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের কুচকাওয়াজের প্রশংসা করে হামিদ বলেন, তাদের কঠোর প্রশিক্ষণ, নিরলস প্রচেষ্টা, আন্তরিকতা এবং অটল আগ্রহের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।
‘মনে রাখবেন, আপনার পেশাগত জীবনে কাজের ক্ষেত্র এবং পরিসর প্রসারিত হবে। এই বাহিনীর সম্মান, মর্যাদা এবং অর্জন আপনার সততা এবং পেশাদারিত্বের ওপর নির্ভর করবে,’ তিনি বলেন। জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীর গৌরবময় অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুযোগ ও শিক্ষা পেলে নারীরাও পুরুষের পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনে সমান ভূমিকা রাখতে পারে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ মুক্তিযুদ্ধের মহান নারীদের অংশগ্রহণ, অবদান এবং ত্যাগ। তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নতুন সৈন্যরা তাদের সততা, নিষ্ঠা, কর্মদক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব দিয়ে এই বাহিনীর সুনাম বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করবে।
রাষ্ট্রপতি সালাম নেয়ার পর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এসময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম এবং বিজিটিসি ও সি-এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর জাহিদ তার সাথে ছিলেন।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মোহাম্মদ তুষার আলী এবং আনিকা আক্তার সেরা শারীরিক কৃতিত্ব (পুরুষ ও মহিলা) পুরস্কার অর্জন করেন এবং নওশেদ সেরা শ্যুটার হিসেবে ভূষিত হন। মঈন উদ্দিন ‘সকল বিষয়ে সেরা নিয়োগ’ পুরস্কার জেতেন।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ৯৪তম ব্যাচে ২৪ সপ্তাহের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ শেষে ৪৯ জন নারীসহ মোট ৫৪৪ জন নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। # সূত্র : ইউএনবি।