দূরবীণ নিউজপ্রতিবেদক:
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচালক তপন কুমার সাহাসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার বীজ আত্মসাতের সুনিদিষ্ট অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার ৮ আসামী হলেন- বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম পরিচালক তপন কুমার সাহা, উপপরিচালক মো. আমিন উল্যা, ইন্দ্রজীত চন্দ্র শীল ও মো. আক্তারুজ্জামান তালুকদার, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আলী হোসেন, গুদাম রক্ষক মো. রেজাউল কবির এবং সাবেক গুদামরক্ষক মো. লিয়াকত আলী ও কামরুল আহসান।
দুদকের উপ পরিচালক মো. আল আমিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির যশোর জেলা কার্যালয়ে এ মামলা ৩টি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে দÐবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গণমাধ্যমকে দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক কর্মকর্তা জানান, প্রথম মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ৯৮৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৪১ টাকা এবং তৃতীয় মামলায় ৬৭ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রথম মামলার এজাহারে সংক্ষিপ্ত বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী বিএডিসি’র উপপরিচালক ইন্দ্রজীত চন্দ্র শীল ঝিনাইদহে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বর্ষে কর্মরত ছিলেন। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি খামারে ৪০ হেক্টর (৯৮.৮ একর) জমিতে ৮০ টন এসএল এই-এইট জাতের হাইব্রিড ধানবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। ওই বীজ উৎপাদনের জন্য বীজ, সার, কীটনাশক, শ্রমিক, জিএ-৩ চাষাবাদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ মোট ১ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তুইন্দ্রজীত চন্দ্র শীলসহ অপর আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ঝিনাইদহে উৎপাদিত ২২.০৩৫ টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান, ৯৩৬৮ কেজি কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা ঝিনাইদহে উৎপাদিত ৭৫.০৭৫ টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান, ৪.০৬৯ টন ব্রি ধান ২৮ জাতের ধানবীজ ও ২৬২৫ কেজি বারি ৩০ জাতের ধানবীজ আত্মসাৎ করেছেন। আর তৃতীয় মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, আসামীরা চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত ৩২.১১০মেট্রিক টন বোরো এসএল এই-এইট এইচ জাতের বীজ ধান ৯.৮২৫ কেজি বারি ৩০ জাতের বীজ আত্মসাৎ করেছেন। #কাশেম