দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বলেছেন, বাংলাদেশ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে আছে। তবে এ বিষয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আইইডিসিআর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে একজন বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে বাংলাদেশের হাইকমিশন জানিয়েছে। ওই শ্রমিক সেখানে দেড় বছর ধরে কাজ করছেন।
অন্য অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে যাওয়ার পর পরীক্ষাতে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যেহেতু বাইরের দেশে রোগীর গোপনীয়তা খুব কঠিনভাবে মেনে চলা হয়, তাই তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের ফ্লাইটগুলোর কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেবল সিঙ্গাপুর নয়, যেসব দেশে লোকাল ট্রান্সমিশন রয়েছে তাদের সঙ্গেও আমাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে।
সিঙ্গাপুরে প্রতিদিন আমাদের অনেক ফ্লাইট যায়। সেদিক থেকে আমাদের ঝুঁকি রয়েছে বলেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২১ জানুয়ারি থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৬ হাজার ৫২২ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
আর আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ১২০টি। এর মধ্যে ৮৪টি কল করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত। এছাড়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ জনের। তবে কারও মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তাই বলা যায়, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি নেই।
গৃহপালিত প্রাণীর মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাস থাকতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘরের পোষা প্রাণী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, এমন কোনও প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
আশকোনা হজ ক্যাম্প এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা উহানফেরতদের বিষয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তারা ১ ফেব্রুয়ারি এসেছেন।
১৪ দিনের ‘ইনকিউবিশন পিরিয়ড’ হিসেবে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা বাড়ি ফিরবেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপরও যদি তারা কোনও অসুবিধা বোধ করেন, তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। # কাশেম