দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ক্রমেই বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দেশের বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ১৪ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বজ্রপাতে জুবায়ের বেপারী (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ধলাই নদীর পার থেকে গরু আনতে গিয়ে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। সে পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডের উজিরপুর গ্রামের আল আমিন বেপারীর ছেলে। নিহত জুবায়ের স্থানীয় আইডিয়াল কেজি এন্ড হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) এ বজ্রপাতে মোহাম্মদ তুহিন নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পোলমোগরা এলাকায় বাড়ির অদুরে জমিতে মরিচ তুলার সময় এই ঘটনা ঘটে। সে খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্র। তুহিন খৈয়াছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম পোলমোগরা গ্রামের গোলবক্স মিস্ত্রি বাড়ির প্রবাসী বাবুল মিয়ার ছেলে।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বজ্রপাতে এনামুল (১২) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে ধল্লা ইউনিয়নের গান্ধারদিয়া গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে বাড়ির সামনে ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে আম কুড়াতে যায়। এ সময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হলে সে আহত হয়। পরে এনামুলকে স্থানীয় বাস্তা বাসষ্ট্যান্ডের দি ঢাকা ল্যাবে (ক্লিনিক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বজ্রপাতে অনিক (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। অনিক ওই এলাকার আইয়ুব মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। ওই দিন সে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে অনিক তার বাবা-মায়ের সাথে খড় শুকাচ্ছিল। হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে তার ওপর একটি বজ্রপাত হলে সে মাটিতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বজ্রপাতে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের নান্দুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উত্তরবঙ্গ থেকে উপজেলায় ধান কাটতে দেলদুয়ারে এসেছিলেন।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় বজ্রপাতে তকবির মিয়া (১২) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে চরনারচর ইউনিয়নের ললুয়ারচর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মিলনগঞ্জ বাজারের পাশের হাওরে মাছ ধরতে যায় তকবীর। এমন সময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হলে সে আহত হয়। আহত অবস্থায় কিশোরকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হবিগঞ্জের বাহুবলে বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুইজনের মুত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার নোয়াওই গ্রামের দরদ মিয়ার ছেলে ওরকাইদ (১১) ও মানিকা গ্রামের আব্দুল সালামের ছেলে নছর উদ্দিন (১৭) বিলে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
জয়পুরহাটে টিউবওয়েলে গোসল করার সময় বজ্রপাতে সদর উপজেলার মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের পারুলিয়া-গনকবাড়ি এলাকায় সুকুমার চন্দ্র সরকার (৫১) নামে এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাথে সাথে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া বগুড়ার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের এরুইল বাজারে বজ্রপাতে মোকলেছার রহমান (৫৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। তিনি এরুইল মধ্যাপাড়ার মৃত কছিমুদ্দিনের পুত্র। এ ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এসময় এরুইল মধ্যাপাড়া মোহসিনের পুত্র মনা (৩৫), একই গ্রামের হাসান আলী (৪০) ও এরুইল বাজারের ব্যবসায়ী মো. মামুন (৩২) আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বজ্রপাতে দুইজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের হামিদুল মণ্ডলের ছেলে ফারুক মণ্ডল (৩০) ও নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে শফি মণ্ডল (৪৫) বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় আলাদা বজ্রপাতের ঘটনায় এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে পৃথক স্থানে সদর উপজেলার স্বরুপনগর এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৫) ও শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চর পাঁকা গ্রামের হেরাস উদ্দীনের স্ত্রী পাপিয়া বেগম (৩৫) মারা যান। # সূত্র: ইউএনবি