বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

বহুতল ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা: ডিএনসিসি মেয়র আতিক

দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর প্রত্যকটি বহুতল ভবনের মানসম্মত কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বা ফায়ার সেফটি থাকতে হবে। বহুতল ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা করা হবে। তিনি বলেন, ‘অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন বাঁচাতে বড় আকারের পূর্বপ্রস্তুতির কোনো বিকল্প নেই। নানা কারণে অগ্নিকাÐ ঘটতেই পারে। তবে অগ্নিনির্বাপনের প্রস্তুতি না থাকলে আগুনে পুড়ে মানুষের মত্যুর মিছিল শেষ হবে না।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত অষ্টম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো ২০২২ গোল টেবিল বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি যৌর্থভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ও ইলেকট্রনিক্স সেইফটি এন্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ইস্সাব) আয়োজন করেছে। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরীতে ২০টি অফিস, স্কুল, কলেজ, শপিংমল, হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করা হবে। পরিদর্শনকালে ফায়ার সেফটি আছে কি না দেখা হবে। ফায়ার সেফটি না থাকলে ভবনগুলো বন্ধ করা হবে। মেয়র বলেন, বাসায় এডিস মশার জীবানু ‘ডেঙ্গুর লার্ভা থাকলে জরিমানা করা হয়। রাস্তার ওপর রড থাকলে যদি জরিমান করা হয়, তাহলে ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে কেন জরিমানা করা হবে না ।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বারবার বলার পরেও যদি ভবনগুলোতে ফায়ার সেফটি না থাকে, তবে তাদেরও জরিমানা করা হবেই।
তিনি বলেন, নগরীর সরু সড়ক বড় করা হচ্ছে। ২০ ফিট রোড হতে হবে, না হলে কোনো ধরনের ফান্ড দেবে না। ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেতে ভবন ভেঙে রোড বড় করা হচ্ছে। বড় রোড না হলে আমরা সড়ক ঠিক করে দেবো না।

মেয়র বলেন, পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বিজিএমইএ’র সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরে রানা প্লাজায় বড় ডিজাস্টার হয়। এরপর পোশাক কারখানাগুলোকে একটি সিস্টেমের মধ্যে এনেছেন। পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্বের ১০টা গ্রিন কারখানার মধ্যে ৮টিই বাংলাদেশে। গার্মেন্টস যদি ট্রান্সপারেন্সি করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরকে কেন পারবো না। নগরীর নাগরিকদের সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং প্রভাইড করবে সিটি করপোরেশন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, ফায়ারের প্রথম যখন খবর পাই, তখন পুলিশের মাধ্যমে রাস্তা ক্লিয়ার করে আমরা মুভ করি। যেভাবে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে তাতে করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ফায়ার সেফটির জন্য। আমি মনে করি সার্ভিসের সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে।

তিনি বলেন, ভবন নির্মাণ করতে সবাই চায়। কিন্তু সেফটিতে কেউ টাকা খরচ করতে চায় না। সেফটিতে ইনভেস্ট করতে হবে। আমাদের রেগুলেটারি বডির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেমিক্যালের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অথরিটি নেই, নেই কোনো আইন। এটা জরুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। কারিকুলামে এই বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রশিক্ষণাগার তৈরি করতে হবে।

নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ফায়ার সেফটির বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। সচেতনতার জন্য রেগুলার ট্রেনিং দিতে হবে। সচেতন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি এই বিষয়ে সরকারকে বাধ্য করেত। বর্তমানে ফায়ার সেফটির কোনো বিকল্প নেই। এই বিষয়ে শিল্প কারখানা রেগুলার মনিটরিং করতে হবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করছে ও বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। সচেতনতার জন্য ইনফোর্স করতে হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে ফায়ার সেফটির বিষয়ে। তিনি বলেন, আগুন ধরার অন্যতম কারণ গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রতিবছর ইলেকট্রিক ও লিফট মেইনটেইন করতে হবে।

ইসাবের যুগ্ম সচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশকে ও দেশের পোশাক খাতকে আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে চাই। প্রতিটা স্কুলে বাচ্চাদের এই বিষয়ে জ্ঞান দিতে চাই, সচেতন করতে চাই। প্রতিটা দেশেই কিন্তু বাচ্চাদের ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হয়নি। সারাদেশে পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছড়িয়ে আছেন। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের একটা ছোট কোর্স করি, তাহলে কোথাও ঘটনা ঘটলে তারা সবার আগে জেনে যাবে। এতে করে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত হবে।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম, সেফটি মেজারের ক্ষেত্রে ল’ এনফোর্সমেন্ট জরুরি। প্রতিদিন ৫১৮টি নতুন গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। তারপরও যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। ফায়ার কোনো গাড়ি মুভ করলে আমরা এই ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকি। আমাদের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির কোনো ল’ নেই। আমাদের একটি ল করা জরুরি।

সিনিয়র সাংবাদিক প্রনব সাহা বলেন, ভবনে ফায়ার সেফটি আছে কি না। ফায়ার সেফটি না থাকলে ঋণ দেওয়া উচিত হবে না। গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসাব’র সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ। # কাশেম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০০ অপরাহ্ণ
  • ৪:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৮ অপরাহ্ণ
  • ৭:৪৭ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12