দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
জালিয়াতি ,প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে বাংলাদেশ যুবলীগের বহিস্কৃত কেন্দ্রীয নেতা হাবিবুল হক সরকার ফুলুকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রশাসন অনেক চাঞ্চল্যর তথ্য পাচ্ছে বলে জানা যায়। বর্তমানে এ প্রভাবশালী নেতা কারাগারে আছেন।
তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি আসামি গ্রেপ্তারের পর এসব নানা চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে আসছে।
জানা যায়, ভিকটিমদের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে প্রথম মোহাম্মদপুর থানায় হাবিবুল হক সরকার ফুলুর বিরুদ্ধে মামলা নম্বর-১৫(১১) ২০১৬ দায়ের হয়। পরে এ মালাটি সিআইডি তদন্ত শুরু করে চার্জশিট দাখিল করেছে।
এছাড়াও হাবিবুল হক সরকার ফুলুর বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা নম্বর-১৬(১১)২০২০ এবং মোহাম্মদপুর থানায় মামলা নম্বর-৮৪(৮)২০২০ রয়েছে।
এদিকে গত ২৯ নভেম্বর পিবিআই যুবলীগ নেতা হাবিবুল হক সরকার ফুলুকে গ্রেপ্তার করে এক দিনের রিমান্ডে নেয়।
আসামি হাবিবুল হক সরকার ফুলুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, প্রায় দু’শ গ্রাহক ও একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিকে জিম্মি করে রাখার । আর ওই কোম্পানীর অর্থ আত্মসাৎ এবং সদস্যদের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রমের অভিযোগে হাবিবুল হক সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে মামলা নম্বর- ৪৬/২০১৬ দায়ের করা হয়।
আরো অভিযোগ রয়েছে, বিডিডিএল নতুন ধারা হাউজিং প্রজেক্টে পাঁচ কাঠার একটি প্লট ৪৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বায়না করে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সকল টাকা পরিশোধ করেন। তবে সকল টাকা পরিশোধ করার পরেও প্লট বুঝিয়ে দিতে গরিমসি করেন।
আসামি এবং বাদির মধ্যে চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে সমস্থ অবকাঠামো এবং প্লট বুঝিয়ে দেয়ার কথা তবে তা ব্যর্থ হয়।
২০১১ সাল থেকে ২০২০ সালের অক্টোর মাস পর্যন্ত ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আসামির কাছ থেকে পাওনা হন। বার বার চাপ দেয়ার পরেও টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হন। এতে একেএম নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে কাফরুল থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করেছে।#