দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) -৩ এর অভিযানে রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকা থেকে রাসেল হত্যাকান্ডের মূল আসামী শাকিল (২২)কে রক্তমাখা ছুরিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১১ মে) দিবাগত রাত ১ টায় রাজধানীর ফকিরাপুলস্থ আল-আকাসা আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে রাসেল হত্যাকান্ডের মূল হোতা তার কথিত বন্ধু মোঃ শাকিল কে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার র্যাব -৩ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি, সাইবার ক্রাইম, সন্ত্রাসী, ছিনতাইকারী, মানবপাচারকারী, চাঁদাবাজ, নৈরাজ্যকারী, বিভিন্ন মামলার আসামী, অপহরণকারী, জালনোট ব্যবসায়ী, প্রতারক চক্র, চাঞ্চল্যকর অভিযান,ধর্ষক এবং হত্যাকারী ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ১১ মে দিবাগত রাত সাড়ে ৮টায় মতিঝিল থানাধীন আরামবাগ হাই স্কুলের সামনে প্রেসের কর্মচারী রাসেল (২২) কে ডেকে নিয়ে তার বন্ধু শাকিল (২২) ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর র্যাব-৩ এর কুইক রেসপন্স টিম তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাবের আভিযানিক দল ১২ মে রাত ০১০০ ঘটিকায় রাজধানীর ফকিরাপুলস্থ আল-আকাসা আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে রাসেল হত্যাকান্ডের মূল হোতা মোঃ শাকিল (২২), পিতা- মোঃ হযরত আলী বেপারী, মাতা- মোসা পারভিন বেগম, গ্রাম-চর আবাবিল, থানা- সদর, জেলা- লক্ষীপুর কে রক্তমাখা ছুরিসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ধৃত আসামীর নিকট হতে তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন এবং উক্ত হোটেল হতে সিসি ক্যামেরার ডিভিয়ার এবং বোর্ডার রেজিস্টার জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত শাকিল জানায় ভিকটিম রাসেল ও সে ঘনিষ্ট বন্ধু । শাকিল আরামবাগ এলাকার সাহারা প্রিন্টিং প্রেসের কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। গত ১৮ এপ্রিল মৃত ভিক্টিম রাসেল তার বান্ধবীসহ রেষ্টুরেন্টে খেতে যায়। সেখানে শাকিল (২২) তার বন্ধুদের সাথে উপস্থিত হলে, মৃত ভিক্টিম রাসেল তাকে অপমান করে। উক্ত ঘটনা থেকে তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরী হয়।
উক্ত ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য গত ১১ মে ধৃত আসামী রাসেলকে মতিঝিল থানাধীন আরামবাগ হাই স্কুলের সামনে ডেকে নিয়ে আসে। রাসেলকে শায়েস্তা করার জন্য ধৃত শাকিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যান্টের পকেটে করে ছুরি নিয়ে আসে।
ঘটনাটি মীমাংসা কালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যান্টের পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে সে রাসেলকে নির্মমভাবে আঘাত করে। রাসেলের রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে শাকিল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আল-আকাসা আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেয় । আহত রাসেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।