তাবিথ আউয়াল :
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠান। প্রাণঘাতি করোনাকালে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো অব্যাহত রেখেছেন। তাদের অবদান কোনোভাবেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। কিন্তু করোনাকালে দেশে এসে আমাদের লাখ লাখ প্রবাসী ভাই ও বন্ধুরা আজ অসহায় হয়ে পড়েছেন।
করোনা টিকা প্রাপ্তিতে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। কারণ তারাই আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছেন। কঠিন প্রতিযোগিতার মোকাবেলায় আগামীতে বিদেশে শ্রমবাজ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই প্রবাসীদের সার্বিক সহযোগতিা করা প্রয়োজন। তারাই আমদের অর্থনীতিকে আরো বেশি চাঙ্গা রাখতে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রাখছেন।
যারফলে এই প্রবাসীদের সাথে নির্দয় আচরণ বন্ধ করা উচিত। কারণ ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক শ্রম বাজার আরো কঠিন হবে, আর এই বিষয়টি সামনে রেখে এখনই সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন ।
বিভিন্ন সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল ও অন লাইন নিউজ পোর্টালের খবর থেকে জানা গেছে ফাইজারের টিকা পাবেন এমন খবরে প্রবাসী কর্মীরা বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করেন। কিন্তু টিকা না পেয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছিল, রাজধানী ঢাকার সাতটি হাসপাতালে প্রবাসী কর্মী যারা বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন তাদেরকে ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হবে। এ খবর পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কঠোর সরকারী বিধি নিষেধের মধ্যেও অনেক প্রবাসী কর্মী গন পরিবহন বন্ধ থাকা সত্বেও মোট অংকের টাকা খরচ করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আসেন। কিন্তু টিকা দিতে তো পারেন নি। বরং নানা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন তারা।
প্রবাসী কর্মীদের অনেকেই গনমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন , করোনার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করলেও তারা মোবাইলে এসএমএস পাননি। আবার অনেকে কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা জানেন না।
জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর কেবল সৌদি আরব ও কুয়েত প্রবাসীদের এই টিকা দেওয়ার কথা জানালেও ঐদিন টিকাদান কেন্দ্রে ইতালি ও অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরাও ভিড় করেছিলেন।
বিক্ষোভের পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রবাসী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
তিনি বলেন, অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসীরা ভ্যাকসিন পেতে নিবন্ধন করতে পারবেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি।
সচিব বলেন, মন্ত্রণালয় আপনাদের জন্য কাজ করছে এবং ভ্যাকসিনের এই সংকটের মধ্যেও এ উদ্যোগ নিয়েছি।
এ সময় প্রবাসীরা হট্টগোল শুরু করলে সচিব সবাইকে থামার অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, প্লিজ আপনারা থামেন। আমরা কেউ আপনাদের চেয়ে কম প্যানিকড (আতঙ্কগ্রস্ত) না। আপনারা সবাই আমাদের সম্পদ। এই জিনিসটা শুধু আমরা মুখে বলি না, করিও।
সচিব জানান, আগামী সোমবার( ৫জুলাই) থেকে আপনারা সবাই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, অধৈর্য হলে কোনও সমাধান আসবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাতটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা। কিন্তু সময় তো থাকতে হবে। ব্যবস্থাপনা করতে কিছুটা সময় দরকার।
তিনি বলেন, রবিবার (৪জুলাই) বা সোমবার (৫জুলাই) দিকে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের ব্যবস্থা হবে। সৌদি আরব ও কুয়েত ফাইজারের টিকার কথা বলছে। যাতে ১টা ডোজ নিলে সে দেশে গিয়ে বাকিটা নিতে পারে। ফাইজারের সিঙ্গেল ডোজ এখন কেবল কুর্মিটোলায় আছে।
মন্ত্রী প্রবাসী কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন “আপনারা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটিতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিন। নাম আর পাসপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরে চলে যাবে। সেখানে বলে দেওয়া হবে কে কোন হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেবেন।”
মন্ত্রী বলেন এটা ট্রায়াল। একটু ধৈর্য ধরেন, আজ-কালের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। যাদের সময় শেষ কিংবা মেয়াদ নেই, সবাইকে বিএমইটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তাদের রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে মন্ত্রণালয় থেকে।
কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার প্রশ্ন হলো প্রবাসীদের টিকা দেয়ার কাজক্রমটি কেন হট্রগোলের মাধ্যমে শুরু করতে হলো। শান্তি পূর্ণ ভাবে পরিকল্পনা মাফিক কি টিকা দেয়ার কাজটি শুরু করা যেত না। এর জন্য মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে।
গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলে সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে ও হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবাসীদের ভোগান্তি অতীতের অনেক রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।দুই সপ্তাহ আগে থেকে প্রবাসী কর্মীদের টিকা দেয়ার রেজিষ্ট্রেশনের কাজটি কি শেষ করা যেত না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মী ভাই বোনদের জন্য টিকা রেজিষ্ট্রেশনের কাজটি সহজেই করতে পারতেন।
নিজ মাতৃভূমি থেকে দূরে পরিবার পরিজন ছাড়া অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবন করে থাকেন বাংলাদেশী প্রবাসীরা। বছরের পর বছর তাদের পাঠানো অর্থে ফুলে ফেঁপে উঠছে দেশের অর্থনীতি।কিন্তু এর বিনিময়ে তারা দেশ থেকে কি পাচ্ছেন? বাংলা দেশ সরকার কতটা কৃতজ্ঞ এই মেহনতি কর্মীদের প্রতি।সরকারী অবহেলা অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগে পড়ছেন প্রবাসীরা।
করোনা মহামারির মধ্যে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বার বার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও প্রথম দফায় টিকাদান কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেনি সরকার। এ কারনে বর্তমানে মধ্য প্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যেতে ব্যাপক হয়রানী ও অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে,বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ টি দেশে প্রায় ১ কোটি প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছে। এসব দেশে নানা রকম হয়রানী এবং আইনী জটিলতায় পড়ছেন প্রবাসী কর্মী ভাই বোনেরা। কর্মক্ষেত্র নানান সমস্যা থেকে প্রবাসীদের সুরক্ষা দেয়ার কথা ছিল সে সব দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের। কিন্তু দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে শক্ত অবস্থান নিতে বার বার ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো। আছে আন্তরিকতার তীব্র অভাব।
গত দশ বছরে তাই প্রবাস থেকে ছাব্বিশ হাজারের বেশি বাংলাদেশীর লাশ দেশে ফিরেছে। তাদের অধিকাংশই বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
তার পরেও কোন কোন দায়িত্বশীল মন্ত্রীকে প্রবাসীদের নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলতে দেখা গেছে। যা খুবই দুঃখ জনক ও বেদনাদায়ক বটে।
ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশান অব মাইগ্রেশন (আইএমও) এর তথ্য অনুযায়ী একজন বাংলা দেশী প্রবাসীর মাসিক আয় ২০০ ডলার। অথচ ফিলিপাইনের প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৫৬৪ ডলার। জনপ্রতি এই আয়ের মূল পার্থক্য হলো দক্ষতার অভাব।
দেশের নাগরিক হিসেবে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে চলেছেন প্রবাসীরা। কিন্তু সরকারের সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কি সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে?
বছরের পর বছর ঘুরে। কিন্তু বদলায় না এই দূর্ভাগা প্রবাসীদের ভাগ্য। অথচ এখনই সময় তাদের মূল্যায়নের। এখনই সময় প্রবাসী বান্ধব নীতি নিয়ে সমৃদ্ধ বাংলা দেশ গড়ার।
যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বছরের পর বছর প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে ফুলে ফেঁপে উঠছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদান অনেক বেশী। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়,ওয়েজ ওনার্সবোর্ড,বিএমইটি এসব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও অদক্ষতার কারণে প্রতিনিয়ত অনেক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন লাখ লাখ রেমিট্যান্স যোদ্ধা বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীরা। প্রবাসীদের টাকায় ঐসব প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করেছে। কিন্তু এই টাকা প্রবাসীদের কল্যানে খরচ করা হয় না।
ধাপে ধাপে বাংলাদেশী প্রবাসীরা নিঃস্ব হচ্ছেন।সরকারের সুপারভিশন নাই এই কারণে ধাপ ধাপে দালালদের তৎপরতা বেড়ে যাচ্ছে। তারা বেশী টাকায় ভিসা বিক্রি করে প্রথম ধাপেই প্রবাসীদের নিঃস্ব করছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে বিশেষ করে টিআইবির রিপোর্টেও উঠে এসেছে। হিউম্যান ট্রাফিকিং সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে অনেক বাংলাদেশীরা ভূমধ্যসাগরেও প্রাণ হারাচ্ছেন।
প্রবাসীরা হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। তবে তাদের আইনী সহায়তা দেয়া, বিপদের সময় তাদের উপকার করা বা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের কোন ভূমিকা বা আন্তরিকতা তেমনটা নেই বলেও অভিযোগ রয়েছে। কখনো কখনো অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়,প্রবাসীদের সাথে সরকারের সম্পর্কটা প্রতিপক্ষের মতো। তাদের সাথে নির্দয় আচরণ কখনোই কাম্য নয়। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বটে।
তাই অতি শিগগিরই একটি প্রবাসী বান্ধব নীতিমালা তৈরি করে সরকারকে সকল প্রবাসীর পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা যেন বৈধ পথে বিদেশ যেতে পারে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন।
একই সাথে নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিদেশগামী সব কর্মীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক শ্রমবাজার খুবই প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে। এই কারনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ওয়েজ ওনার্স বোর্ড এবং বিএমইটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং সকল প্রবাসীদেরকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। বিদেশে আমাদের সকল প্রবাসী ভাই বোনদেরকে সহযোগিতা করার জন্য সকল দূতাবাসে সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে।
বিশেষ করে আমাদের নারীরা যারা বিদেশে কাজ করতে যান, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দূতাবাস গুলোকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকারের হিসাবেই গত এক বছরে করোনা মহামারির মাঝে ৩৭ হাজার প্রবাসী বাংলা দেশী দেশে ফিরে এসেছে।
তবে খতিয়ে দেখলে এই সংখ্যা টা আরো বেশি হবে।কিন্তু তাদের আর্থিক সংকট থেকে বাঁচার জন্য সরকারের কোন পদক্ষেপ আমরা দেখি না।
প্রবাস থেকে ফিরে আসা সকল বাংলাদেশীদের তালিকা করে সকলকেই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আন্তভুক্ত করতে হবে। একই সাথে ওয়েজ ওনার্স বোর্ডের যে তহবিল আছে সেখান থেকে ফিরে আসা প্রবাসী কর্মী ভাই বোনদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের আজীবনের পরিশ্রমের স্বীকৃত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচিত তাদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড এবং হেলথ ইন্সুইরেন্স নিশ্চিত করা। একই সাথে প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের কথা ভুলে গেলে চলবে না।
দেশের অর্থনীতিতে যাদের এতো বড় ভূমিকা রয়েছে, দেশে সরকার গঠন করার সময় তারা কেন রায় দিতে পারবেনা বা কোন ভূমিকা রাখতে পারবেনা সেটা হতে পারে না। ভোটাধিকার না থাকাটা আসলে হাস্যকর।
তাই এখনই প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ৩/৭/২০২১ ঢাকা।
#লেখক: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।