দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
প্রচন্ড জ্বর , ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নিরাপত্তা প্রহরী মো. মুরাদ হোসেন মারা গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর । তার গ্রামের বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই উপ জেলায় বলে জানান যায়।
এদিকে মুরাদ হোসেনের মুত্যুর ঘটনায় ডিএনসিসিতে অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে নতুন করেন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক শুরু হয়েছে।রোববার (২৬ এপ্রিল ) সকাল সাড়ে ৫ টার সময় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রচন্ড শ্বাস কষ্টজনিত রোগে মারা যান মো. মুরাদ হোসেন।ছবিতে- লাল বৃত্তের মাঝে সাদা গেঞ্জি পড়া মুখে দাড়ি ব্যক্তিটি ডিএনসিসির নিরাপত্তা প্রহরী নিহত মো. মুরাদ হোসেন ।
নিহত মুরাদ হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম সোহাগ ‘ দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে’ জানান, গত শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টায় প্রচন্ড জ্বর , ও শ্বাস কষ্ট শুরু হলে তার পিতাকে (মুরাদকে) একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওই হাসপাতালে তার পিতার করোনাভাইরাস সংক্রান্ত কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি। এমনকি সাধারণ রোগীদের মতোও চিকৎিসা দেওযা হয়নি।
সোহাগ জানান, শনিবার রাতে রাতে মুরাদ হোসেন জ্বর , ঠান্ডা প্রচন্ড এবং শ্বাস কষ্টে ছটফট করতে থাকেন। তখন তার পিতা মুরাদ হোসেন অনেক কষ্ট করে তাকে ফোন দেয় এবং কাছে আসতে বলেন। কিন্তু সোহাগকে হাসপাতালের ভেতরে তার পিতার কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে অনেক চেষ্টার পর সোহাগ হাসপাতালে পিতার (রোগীর) কাছে যান। ওইসময় কর্মরত ডক্তিার ও নার্সদেরকে তিনি পাননি।
তিনি জানান, ওই হাসপাতালে পাশের এক রোগীর কাছ থেকে অল্প সময়ের জন্য অক্সিজেন দার করে আনেন। এর কিছু সময় পরই রোগী মুরাদ হোসেন মারা যান। ওই হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় তার পিতা মুরাদ হোসেন মরা যান বলেছেন তিনি।
সোহাগ অত্যন্ত আক্ষেপ করে জানান, ওই হাসপাতালের ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন সংকটের কারণে কর্মরত স্টাফরা তার পিতাকে দিতে পারেননি। এতো বড় একটা হাসপাতাল অথচ প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর এবং অক্সিজেন নেই।
তিনি দীর্ঘ শ্বাসব ফেলে জানান, তার দাদা ২০১৫ সালে শ্বাস কষ্ট নিয়ে মারা গেছন। আর ২০২০ সালে ২৬ এপ্রিল শ্বাস কষ্টে মারা গেলেন তার পিতা মুরাদ হোসেন। তবে মুরাদ হোসেনের লাশের ফরেনসিক রিপোর্ট পাবার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে ।
এদিকে ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা ‘ ‘দূরবীণ নিউজ টোয়েন্টেফোর ডটকমকে’ বলেন, অঞ্চল-৪ এর নিরাপত্তা প্রহরী মো. মুরাদ হোসেন মারা যাবার খবরটি পেছেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং করছেন। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। # কাশেম