দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
পিরোজপুর- ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে. এম. এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩টি এবং তার স্ত্রী লায়ল পরাভীনের বিরুদ্ধে ০১ টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আসামিদের বিরুদ্ধে ওইসব মামলা দায়েরের অনুমোদ দিয়েছেন কমিশন। ফলে দুদক অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মোঃ আলী আকবর যে কোনো সময় আসামিদের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করতে পারেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানা, আসামি পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে.এম.এ আউয়াল ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে ৬ জন ভুয়া ব্যক্তির নামে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়ে ওই জায়গায় স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেন। পরে ওই ভবন পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে দখলে রাখেন।
আর এই অপরাধে এ.কে.এম.এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দন্ড বিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তা জানান , আসামিদের বিরুদ্ধে একই প্রক্রিয়ায় স্বরুপকাঠি উপজেলায় ডাকবাংলোর নিকটে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাক বাংলো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। ওই অপরাধে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ.কে.এম.এ আউয়ালের বিরুদ্ধে দন্ড-বিধির ৪২০/৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপর একটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তা জানান, পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া মৌজার জেএল-৪৬, খতিয়ান নং-২৯৩, রাজার পুকুর নামে পরিচিত ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি চতুর্দিকে প্রাচীর দেওয়াল নির্মাণ করে দখলে রেখেছেন সাবেক এমপি এ কেএম আউয়াল। ওই অপরাধে তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আরো একটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তা আরো জানান, পিরোজপুর- ১ আসনের সাবেক এমপি এ.কে. এম আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। #