দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আধুনিকতার নামে পুঁজিবাদী সমাজ নারীকে পণ্যে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করলেই নারী মুক্তি সম্ভব নয়। নারী মুক্তির লড়াই একটি রাজনৈতিক মতাদর্শিক লড়াই চলছে। তিনি বলেন, নারী মুক্তির জন্য কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।
রোববার (৮ মার্চ) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ন্যাপ সমন্বয়কারী অধ্যাপিকা শিউলী সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাঃ কামাল ভুইয়া, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু, মহিলা ন্যাপ সমন্বয় কমিটির সদস্য সাদিয়া ইসলাম ইমন, আমেনা খাতুন মনি, এডভোকেট সুলতানা বেগম, ফাতেমা আক্তার লাকি, সালমা সুলতানা প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সমাজে নারীর অবস্থান কি হবে তা আসলে নির্ভর করে নারীর প্রতি সমাজ ও রাষ্ট্রের কি দৃষ্টিভঙ্গি তার ওপর। নারী-পুরুষের সমতার বাংলাদেশ গড়তে হলে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র নারীর অধিকারের মুক্তির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির অধিকার নিশ্চিত করা না হলে প্রকৃত মুক্তি আসবে না। সামাজিক বাধা, রাষ্ট্রীয় বাধাসহ সকল প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। এবার পাড়া-মহল্লায় ছড়িয়ে দিতে হবে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির মিছিল।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, নারীদের অধিকারের স্বীকৃতির জন্য অতীতে আন্দোলন করতে হয়েছে। আজও করতে হয়। আজকের নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রপথিক হিসেবে বহু নারী কাজ করে গেছেন যাঁদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়নি।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে নারীদেরও গৌরবজনক ভূমিকা আছে। আজকে সাক্ষরতার হার বেড়েছে, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। মেয়েরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
আমাদের উনিশ শতকের মানবতাবাদের প্রথম শর্তই ছিল নারীমুক্তি। নারীর যাবতীয় সমস্যাকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই নারীর মুক্তি সম্ভব। নারীর প্রতি নিপীড়নের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে গণজাগরণ ঘটানো সময়ের যৌক্তিক দাবি। নারী সমাজের লড়াই শুধু তাদের একার লড়াই নয়। এ লড়াইয়ে নারী-পুরুষ সবাইকেই অংশগ্রহণ করতে হবে। # কাশেম