দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ নিশ্চিত করণের পাশাপাশি জালিয়াতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে কঠোর মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি। শুধুতাই নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিটি নির্মাণাধীন ভবনের জন্য পৃথক পরিদর্শন বই সংরক্ষণ ও মতামত/সুপারিশ লিপিবদ্ধ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন খোজঁ নিয়ে জানা যায়,পুরনো ভবন এবং বড় বড় মার্কেটের অধিকাংশই রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। যারফলে নগরবাসী মারাত্মক ঝুঁিকতে রয়েছেন। দালালদের দৌরাত্ম কমানোর পাশাপাশি নকশা জালিয়াতি রোধ, আবেদনকারীদের হয়রানী ও প্রতারণা লাঘব এবং ঘুষ- দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজউক রাজউক এবার জনস্বাথে কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
বুধবার (২৪ মে) রাজউকের পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-১) মোহাম্মদ সামছুল হকের স্বাক্ষরে উক্ত বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
মোহাম্মদ সামছুল হক গণমাধ্যমকে জানান, নির্মাণাধীন ভবনে সার্বক্ষণিক পরিদর্শন বই সংরক্ষণ করবে রাজউক। ওই বইয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ফাউন্ডেশন লেভেল, প্লিন্থ লেভেল, অল ফ্লোর লেভেল ও ফিনিশিং ওয়ার্ক লিপিবদ্ধ থাকবে।তিনি আরও জানান, ইমারত পরিদর্শকসহ অন্যান্য পরিদর্শনকারীরা নির্মাণাধীন ভবনে সংরক্ষিত বইয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়ে সই করবেন।
একইসঙ্গে ইমারত পরিদর্শকের কাছে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে ভবন মালিক ও সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সই নেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে নির্মাণাধীন ভবনটি পরিদর্শনে নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এ অবস্থায় রাজউকের জোনসহ পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে রাজউকের জোনাল অফিসগুলোতে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কি না, তা দেখতে পরিদর্শন কার্যক্রম চালানো হবে। এর ফলে নির্ধারিত ৪৫ দিনে নকশা অনুমোদন হয় কি না, অভিযোগ নিষ্পত্তির অগ্রগতিসহ জোনাল অফিসে কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না- পরিদর্শনের সময় এ বিষয়গুলো দেখবে রাজউকের পরিদর্শক টিম। পাশাপাশি কনটেম্পট মামলার অবস্থা, উচ্ছেদ অনুমোদিত নথিগুলোর আপডেট, ইমারত পরিদর্শকরা নির্ধারিত ডায়েরি মেইনটেন্ড করছে কি না তা দেখা হবে। এছাড়া নির্মাণাধীন ভবন ও সাইটগুলো নিয়মিত পরিদর্শন হয় কি না- এ সংক্রান্ত সার্বিক বিষয়গুলো দেখা হবে।
সূত্র মতে,দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ না করার গুরুতর অভিযোগের শেষ নেই। বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের পর কিংবা ভবন হেলে গেলে রাজউক ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বল হয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ইমারত নির্মাণ হয়নি। কিন্তু ভবন নির্মাণকালে রাজউক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সময়মতো পরিদর্শন ও মনিটরিং করা হতো। যারফলে অনুমোদিত নকশার বাইরে ভবন মালিকরা ইচ্ছামতো ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন। #