বিশেষ প্রতিনিধি,দূরবীণ নিউজ:
পারস্পরিক দোষারোপ না করে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবাই এক পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন,আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তারা পারস্পরিক দোষারোপ না করে আমাদের যে রাজনৈতিক অঙ্গীকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার, সেই পথে হাঁটি।
আজ মঙ্গলবার ( ২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে জিয়াউর রহমান কল্যাণপরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, আমরা অনেকে বলি আন্দোলনের ডাক দেন। সেক্ষেত্রে আমি বলব, যারা আন্দোলন করে, আন্দোলনের সঙ্গে থাকে তারা নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে না। নিজ দলের মধ্যে তো খুব পারেন। কিন্তু পুলিশ অন্যায়ভাবে আঘাত করলেও পারেন না কেন? যে জাতি পাকিস্তানীদের সাথে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, সে জাতি ভয় পাবে কেন?
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন না দেয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে কোন আইনে তাকে জামিন দেওয়া হয়নি? এটা ১৬ কোটি মানুষের প্রশ্ন।
গণতন্ত্র পুরুদ্ধার আন্দোলন চলমান রয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আপনারা নিজেদের ব্যর্থ ভাবেন কেন? আমাদের লড়াই চলমান আছে। দীর্ঘ মেয়াদী লড়াই করে কোনো কিছু পেলে সেটাতে আনন্দ বেশি। তাই আমি বলব, ৯ মাসের য্ুেদ্ধ দেশ স্বাধীন না হয়ে ৯ বছরে হলে স্বাধীনতার অবস্থা এমন হতো না।
১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীনতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়াদী উদ্যান- রেসক্রোস ময়দানে আত্মসমার্পন অনুষ্ঠানে আমাদের অস্থায়ী প্রবাসী সরকারের কেউ ছিল? মুক্তিযুদ্ধেও সর্বাধিনায়ত আতাউল গতি ওসমানী ছিলেন? কেন ছিলেন না? তাহলে যুদ্ধ করলাম আমরা পাকিস্তানীদের সাথে। আর আত্মসমার্পণ করল পাকিস্তানীরা ভারতের কাছে। ভারতীয় পত্রপত্রিকায় ও তাদের রিসার্স এই জায়গাটায় খোঁচা দেয়। অর্থাৎ তারা মনে করে ১৬ ডিসেম্ভর ভারত এই দেশটা নিতে পারত কিন্তু নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা বলি, ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ অসময়ে তারা আমাদের সহযোগীতা করেছে। আর ভারত তা মনে করে না। তারা মনে করে, বিনিয়োগ করেছে, এই জায়গায় বাণিজ্য করবে। চীন ও ভারতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,‘চায়না এখানে চায় বাণিজ্য করতে এবং ভারত চায় বাণিজ্য ও রাজত্ব দুইটিই করতে। এর মাঝখানে আমরা পড়েছি।
এখানে সরকার কাকে কত দেবে-এটা করতে গিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক দূরাবস্থা ও জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে। যার কারণে প্রতিটি জিনিসপত্রে দাম আকাশ চুম্বি।
/এডিজেড/একে/দূরবীণ নিউজ