দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার মূলমন্ত্র জলাঞ্জলি দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কিছুই করবে না এবং কাউকে করতে দিবেও না।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটি, বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় যে বৈদেশিক নীতি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন তার উপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ বিশ্বের সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে এবং এই নীতি অনুসরণ করেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যে সকল দেশের অবদান ছিল সে সকল দেশের সাথে সুসম্পর্ক থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। এটার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ বিলিয়ে দেবো।
তিনি বলেন, বিএনপি কথায় কথায় বলে আমরা নাকি দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছি। দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে দেশের পরিপন্থী কি করেছে তার একটি তালিকা তৈরি করার অনুরোধ জানান।
এপ্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যারা করে, তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে। সবাই দেশপ্রেমে উজ্জীবিত। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা নিয়োজিত। দেশ বিরোধী কর্মকান্ড বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দিয়ে কখনোই সম্ভব নয়। কারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে। দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করতে চায় দেশের মানুষ তাদের ভালো করেই চেনে এবং জানে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অশান্তি ও গোলযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের দেশকে বিশ্ববাসীর কাছে বিতর্কিত করার জন্য একটি দল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই দল কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা চায় দেশ ভিক্ষুক ও মিসকিনের জাতি হিসেবে থাকুক। এদের শক্তহাতে রুখে দিতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য আইন প্রণয়ন করার কথা বিএনপি বলেছিলো। কেন আইন করা হয় না এ নিয়ে গলাবাজিও কম করেননি তারা। সবার মতামত নিয়ে যখন আইন পাশ করা হলো তখন এর বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছেন। নতুন করে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের কথা বলছেন। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে নিজেরাই বিতর্কিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি বলেন, সকল বৈষম্য নিরসন করে বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছেন শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে তা বাস্তবায়নে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ নেছার আহাম্মদ ভূঁঞা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।