দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দেশকে কাঙ্খিত উন্নয়নের প্রধান বাধা। আমরা প্রত্যাশা করি জনগণের অর্থে নির্মিত রাস্তা-ঘাট, সড়ক-সেতু সুনাগরিকরাই ব্যবহার করবেন।
রিজিওনাল সেকশন ফর সাউথ এশিয়া, ইস্ট এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিভিশন ফর অপারেশনস এর প্রোগ্রাম অফিসার জরুুর নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি টিম সেগুনবাগিচায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের তার কার্যালয়ে সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাতকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদকের প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল।
সাক্ষাতকালে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ কেবল একটি নগর রাষ্ট্র নয়, এর সিংহভাগ মানুষই পল্লী এলকায় বসবাস করেন। তাদের উন্নয়নের সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এসব কার্যক্রমেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। কমিশন তৃণমূলের এই দুর্নীতি দমনেও কাজ করছে। তবে দুর্নীতি দমনে প্রচলিত কর্মপ্রক্রিয়ার পাশাপাশি উদ্ভাবনী টুলস-টেকনিকেরও প্রয়োজন রয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এদেশে কোনো দুর্বৃত্তের যেন সৃষ্টি না হয়। আর এ জন্যই প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। এটা নিশ্চিত করা গেলেই মূল্যবোধ আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাপনায় আরও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে। সামাজিক বুননে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে।
তিনি বলেন দুর্নীতি দমন কমিশন কেবল অপরাধী ধরে জেলে পাঠায় না, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের নৈতিকমূল্যবোধ জাগ্রত করতে সচেতন করার চেষ্টা করছে – যাতে নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে এবং দুর্নীতির মতো অনৈতিক অপরাধে কেউ জড়িয়ে না পড়ে। এছাড়া তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে নৈতিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করার লক্ষে বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারি সেবা প্রদানে হয়রানি-অনিয়ম দূর করতে পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্যও কাজ করছে। কমিশন আইন অনুযায়ী সরকারের সেবা প্রদানের পদ্ধতি অর্থাৎ বিজনেস প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্যও সরকারের নিকট সুপারিশ করছে।
সরকারি পরিষেবায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা প্রদানের বিষয় নিয়েও কাজ চলছে। আমরা আশাবাদী সকলের সমন্বিত উদ্যোগে দুর্নীতিমুক্ত সরকারি পরিষেবা নিশ্চিত করার পথ ক্রমাগত মসৃণই হচ্ছে।
তিনি বলেন, কমিশন দুর্নীতি প্রতিরোধের বিভিন্ন কার্যক্রমে বিশ^ব্যাংক, এডিবি, জাতিসংঘ উন্নয়ন তহবিল কর্মসূচি, জাইকা, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার নিকট থেকেও সহযোতিা পাচ্ছে । কমিশনের সাথে এনজিও, মিডিয়াসহ সকলেরই নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
জরুুর বলেন, সারা বিশে^ দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো সংস্থাগুলো সুশাসন সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় অভিবাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখিয়ে দুদকের কর্মকান্ডের ভূয়শী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন , আমরা আশা করি দক্ষিণ এশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে যে আঞ্চলিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে, তাতে বংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন নেতৃত্বদানকারী সংস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বাংলাদেশের চলমান কার্যক্রম আরো বেগবান করার জন্য এদেশে স্থায়ী অফিস স্থাপনে – দুদক চেয়ারম্যান এর সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি দুদকের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণসহ তাদের গৃহীত অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি ইউএনওডিসি ও দুদকের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। #