দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন,দুদকের দায়িত্ব দুর্নীতি দমন, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণ সাধন করা। তাই জনগণের সাথে আচার-আচরণে বিনয়ী হতে হবে। অফিসের গোপনীয়তা রক্ষা করার গুরুদায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কারো কাছ থেকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণ কমিশন প্রত্যাশা করে না।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) প্রধান কার্যালয়ে অফিস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় দুদক চেয়ারম্যান এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের
উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। তিনি দুদকের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেদেরকে আরো শানিত করার আহবান জানান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনারা দুদকে নিয়োগ লাভ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি রক্ষার্থে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান এবং দেশের জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার থাকতে হবে।
তিনি বলেন,
তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে আপনারা সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধান অনুসারে – সকল সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রে কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য। তাই সকলকে অনুধাবন করতে হবে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য জনগণের কল্যাণে সর্বোচ্চ সততা, দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করা।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের পত্রজারিতে নিয়োজিত কর্মী থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত প্রতিটি কর্মী-ই গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার কর্মপ্রক্রিয়া একটি চেইন-ওয়ার্ক। এই চেইনে সংশ্লিষ্ট যে কেউ দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলে , পুরো কাজটি পন্ডশ্রম হয়ে যেতে পারে। তাই সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকতে হবে। অফিসে শৃঙ্খলার জন্য একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এটাকে সবাইকে মেনে চলতে হয়। শৃঙ্খলার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই অফিস থেকেই আপনাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। এমনকি আপনাদের বেতনের টাকায় সন্তানদের লেখা-পড়াসহ ভবিষ্যতের আলোকিত পথ চলা শুরু হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। আপনারা সুন্দর ও সুচারুরূপে স্ব-স্ব কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি বিকাশে দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় দুদকের সচিব ডঃ মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।/