দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মেয়াদের শেষ পাঁচ মাসে অভিযুক্তদের ‘দায়মুক্তি’ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আদেশের পূণাঙ্গ কপি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের স্বাক্ষর শেষে ১১ পৃষ্ঠার এই আদেশের কপি প্রকাশিত হয়েছে।
হাইকোর্টের বেঞ্চে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে দুদকের ‘দায়মুক্তি’ প্রাপ্তদের নাম, ঠিকানাসহ তালিকা জমা দিতে দুদককে বলা হয়েছে।
আর এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, আদেশের বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা (দুদক) নির্ধারিত দিনের আগেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবো।
জানা যায়, দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’- শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত ১৬ মার্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ জারি করে ছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
দুদকে ‘অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ের আগে ‘দুর্নীতির বহু রাঘব বোয়ালকে’ ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
‘তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ ৫ মাসে তিনি ২ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।’
ইকবাল মাহমুদ ২০১৬ সালের ১০ মার্চ দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করে টানা ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে গত ৯ মার্চ তিনি বিদায় নেন। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
অভিযোগে প্রকাশ, দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ২০২০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই শতাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। /একে