সর্বশেষঃ
নেত্রকোনায় দুই দিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন  অনুমোদনহীন ড্রিংকস উৎপাদন ও বিক্রি; একমি.প্রাণ.দেশবন্ধু.আকিজসহ ৫ মালিককে আদালতে তলব এডিসের লার্ভা পেলে ছাড় দেওয়া হবে না: মেয়র আতিক কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমর্থেে ছাত্র সমাবেশ সারাদেশ বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু অবশেষে টাঙ্গাইল শাড়ী নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ের ল’ফার্ম নিয়োগ পটুয়াখালীতে ছাত্র সমাবেশে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি গাজীপুরে দুইটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের আহত ৫০ অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর কারামুক্ত  মামুনুল হক গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ; ২০০০ গ্রেফতার
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন

ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে জাতীয় পরিকল্পনা করতে হবে: মেয়র আতিক

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র বলেন, ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে জনসংখ্যার জনঘনত্ব কমানোর জন্য অন্য শহরকে বিবেচনায় রেখে জাতীয় পরিকল্পনা করতে হবে।অথাৎ ঢাকা শহরকে বাঁচাতে হলে আশপাশে মানসম্পন্ন বিকল্প শহর গড়ে তোলতে হবে।

সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বি.আই.পি.) আয়োজিত “ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা নিয়ে বিষয়ভিত্তিক পর্যালোচনা” শীর্ষক একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

ভিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে আরো অংশ গ্রহণ করেছেন, নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি এবং প্রখ্যাত নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট পরিবহণ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌ. ড. শামসুল হক, ঢাকা ওয়াসা’র এমডি তাকসিম এ খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সংস্থা (বেলা)-র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড. শাকিল আকতার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (অঃদাঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উন্নয়ন) এবং বি.আই.পি’র সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. চৌধুরী মোঃ জাবের সাদেক,সাবেক সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. এ কে এম আবুল কালাম, সাবেক সহ-সভাপতি পরিকল্পনাবিদ স্থপতি সালমা এ শফি এবং রাজউকের প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

ডিএনসিসির মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম নগরের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, উত্তরা পরিকল্পিত এলাকায় পরিকল্পনা মাফিক কোন কাঁচাবাজার নেই। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অভাবে লেক ভিউতে গড়ে উঠছে উচ্চতর ভবন, খেলার মাঠ বা খোলা জায়গাও চলে যাচ্ছে দখলে। তিনি বলেন, উত্তরায় বাস বা ট্রাক টার্মিনালের অনুপস্থিতি, পুলিশের জব্দ করা পরিবহণগুলোর জন্য কোন ডাম্পিং স্টেশন নাই।

মেয়র বলেন, ভূমির বিন্যাস নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক জলাশয়, খাল, পুকুর সংরক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, নতুন ১৮ টি ওয়ার্ডের একশন প্ল্যান করা হয়েছে এবং এই প্ল্যান বিবেচনায় রেখেই নতুন ওয়ার্ডের উন্নয়ন করা হবে। ওয়ার্ড কমপ্লেক্স তৈরির মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রদান করার কথা তিনি উল্লেখ করেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমরা গণশুনানি থেকে বিভিন্ন রকম আবেদন ও ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন রকম মতামত সংগ্রহ করছি এবং পরবর্তীতে সকলের মতামতের সারাংশ তৈরি করা হবে।” এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে স্কুল ভিত্তিক উন্নয়ন, খাল সংরক্ষণ, আবাসনসহ আরও অনেক ধরনের প্রস্তাবনার কথা তুলে ধরেন।

ঢাকা ওয়াসা’র এমডি তাকসিম এ খান ঢাকা ওয়াসা’র ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ওয়াটার মাস্টার প্ল্যান-এর কথা তুলে ধরে বলেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় ঢাকা ওয়াসা’র ওয়াটার মাস্টার প্ল্যান বিবেচনা করা না হলে ওয়াসা’র পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।

তিনি বলেন, ঢাকা কে বালতি বানানো যাবে না, সেজন্য আমাদের ১২% জলাধার নিশ্চিত করতে হবে এবং উন্মুক্ত স্থানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এছাড়াও কোন রকম শ্রেণীবিভাগ ছাড়াই বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলো বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নির্দিষ্ট করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বন্যা প্রবণ এলাকাগুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বন্যা প্রবণ এলাকার কোন শাখা বিন্যাস থকবে না। ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় বন্যাপ্রবণ এলাকা নির্দিষ্ট করা থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৫৩ সালের আইন দিয়ে ঢাকার উন্নয়ন সম্ভব না। রাজউক-কে ঢেলে সাজাতে হবে, যেখানে উন্নয়ন কার্যক্রম এবং পরিচালনা কার্যক্রম আলাদাভাবে চালাতে হবে এবং পেশাজীবীদের গুরুত্ব বাড়াতে হবে। এছাড়াও জলাশয় ফিরিয়ে আনার জন্য কি প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে তা জানাতে হবে এবং জলাশয় আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।

বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড. শাকিল আকতার বলেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তনের কথা বলা হলেও তার পর্যালোচনা সঠিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি। মিশ্র ব্যবহার শর্তসাপেক্ষে প্রয়োগ করা যাবে বলা হলেও শর্তগুলো কোথাও উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা’র ওয়াটার মাস্টার প্ল্যানের বাস্তব প্রতিফলন ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় ফুটে উঠেনি। রাস্তায় কি পরিমান ট্রাফিক ভলিউম, সেই ভলিউমের ভিত্তিতে কোথায় স্টপেজ হবে, রাস্তার চওড়া কেমন হবে সেটাও পরিকল্পনায় বলা হয়নি। ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যেসব জোনের কথা বলা হয়ছে সেখানে কিভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে তারও কোন উল্লেখ নেই এ পরিকল্পনায়। নতুন স্টেশনগুলো তৈরি হলে সেটার জন্য যে পরিমান যানবাহনের চাহিদা তৈরি হবে তা পুরণ করার জন্য করণীয় কি সে সম্পর্কিত কোন দিকনির্দেশনা এ পরিকল্পনায় প্রদান করা হয়নি।

বুয়েটের অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. শামসুল হক বলেন, ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘ মেয়াদে ভূমি ব্যবহার, পরিবহণ ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ।

তিনি পরিবহণ সেক্টরে গৃহীত মেগা প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ঢাকা শহরের যানজটের তেমেন কোন সমাধান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভুমি ব্যবহার, পরিবহণ ও অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধাদির সাথে সাথে রস্তারও সুবিন্যাস থাকা উচিত কিন্তু ঢাকাতে সড়কের কোন বিন্যাস নেই।
এছাড়া যানজট কমানোর দোহায় দিয়ে নতুন নতুন পরিবহণ স্টেশনগুলোর যে পরিকল্পনা করা হচ্ছে সেখানে যাত্রী কোথায় দাঁড়াবে বা ফুয়েল স্টেশন কোথায় হবে সেগুলোর সুনির্দিষ্ট কোন উল্লেখ এ পরিকল্পনায় নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ড. শামসুল হক বলেন, সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে অপরিকল্পিত উন্নয়নের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে একটা শহরের বাসযোগ্যতা হবেনা, বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলতে হলে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক সংশোধন করতে হবে এবং অতীতে পরিকল্পনা গুলো কেন বাস্তবায়ন হয়নি সে দিকেও নজর দিতে হবে।

নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বিশাল পরিকল্পিত শহর পূর্বাচল প্রকল্প ১০ লাখ মানুষের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে কিনা বা অন্যান্য নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চান। নতুন শহর গড়ে তুললে সেটাকে স্বতন্ত্র শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলেন।

অন্যথায় নতুন নতুন শহর গড়ে উঠলেও কেন্দ্রীয় শহরের উপর চাপ কমবে না বরং আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সবার জন্য আবাসন চাইলে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ কতটুকু জমি পাবে এবং কোথায় পাবে সেটাও উল্লেখ করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়া কত জনসংখ্যার জন্য কতটুকু খোলা জায়গা, খেলার মাঠ বরাদ্দ রয়েছে সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। এছাড়াও রাজউকের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা কি থাকবে সেটার একটা সুনির্দিষ্ট কাঠামো রাখার তিনি আহ্বান জানান।

বাপা-র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় ঢাকাকে অবৈধ দখল ও দুর্নীতির হাত থেকে পুনরুদ্ধারের জনসম্পৃক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়াও জলাধার সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে এ বিষয়ে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় যথাযথ দিকনির্দেশনা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই সমাজকর্মী।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বিশেষজ্ঞদের মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় তা সন্নিবিষ্ট করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলবার জন্য মানবিক, টেকসই এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক নগর পরিকল্পনা অনুশীলনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। # কাশেম

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
  • ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
  • ৬:৪০ অপরাহ্ণ
  • ৮:০৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৩ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12