দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৬ জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২১৬টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনা পরিদর্শন কালে ২০টি ভবন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় মশার লার্ভা পেয়েছেন এবং অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রেখে যান চলাচলে বাঁধা সৃষ্টির অপরাধে পৃথক ২২ মামলায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
আজ শনিবার (১০ জুলাই) ডিএসসিসির ১, ২, ৩, ৫, ৯ ও ১০ নম্বর অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা ও দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর ধানমন্ডি, জিগাতলা, হাজারীবাগ, শাজাহানপুর, কদমতলা, কে এম দাস লেন, অভয় দাস লেন, মাতুয়াইল ও শ্যামপুর এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অঞ্চল-১ এর আনিক মেরীনা নাজনীন ধানমন্ডি এলাকায় অভিযানকালে ১৫টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি ও নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘সুবাস্তু’র’ একটি নির্মাণাধীন ভবনসহ ৪টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-২ এর আনিক সুয়ে মেন জো’র তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ও ইরফান উদ্দিন আহমেদ অঞ্চল-২ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা ১১ নং ওয়ার্ডের উত্তর শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় ৫০টি ভবন পরিদর্শনকালে ৬টি ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলা দায়ের ও ১ লাখ ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কদমতলা ওয়াসা রোড, মদিনাবাগ, উত্তর মুগদা এলাকায় ২৮টি বাড়ি পরিদর্শনকালে দুটি বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এ সময় লকডাউনের মধ্যে একটি জুতার দোকান খোলা রাখায় সেখানেও অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও অভিযানকালে ৬টি বাড়ির মেঝেতে (আন্ডারগ্রাউন্ডে) পানি জমা থাকায় সেগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে বালু ভরাট করার লিখিত মুচলেকার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়।
অঞ্চল-৩ এর আনিক বাবর আলী মীর হাজারীবাগ ও জিগাতলায় অভিযানে ১০টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে হাজারীবাগ ও জিগাতলা এলাকায় দুটি নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায়, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল ৫ এর আনিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার ৩৯নং ওয়ার্ডের অভয় দাস লেন ও কে এম দাস লেন এলাকায় ৩০টি বাড়ি ও নির্মাণধীন ভবন পরিদর্শনকালে দুটি ভবন ও দুটি দোকানে লার্ভা পাওয়ায় ৫,০০০টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৯ এর আনিক মো. খায়রুল হাসান মাতুয়াইল এলাকায় ৩০টি নির্মাণাধীন ভবন ও কারখানা পরিদর্শনকালে একটি বাড়ির সামনে রাস্তায় বর্জ্য ফেলে যান চলাচল ও লোকজনের চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি করায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ৫টি নির্মাণাধীন ভবনে মশার প্রজননস্থল দেখতে পাওয়ায় আদালত সেসব বাড়ির মালিকদেরকে একদিনের সময় বেঁধে দেন। আগামীকালের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তাদের বাড়িগুলো সিলগালা করা হবে মর্মে আনিক-৯ বাড়ির মালিকদেরকে জানিয়ে দেন।
অঞ্চল-১০ এর আনিক মোহাম্মদ মামুন মিয়া শ্যামপুরের লাল মসজিদ রোড, বালুর মাঠ ও বড়ইতলা এলাকায় অভিযানে আদালত ৫৩টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে লাল মসজিদ রোডের দু’টি নির্মাণাধীন ভবনে মশার মশার লার্ভা পাওয়ায় সাড়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।