দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চিরুনি অভিযান সফল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ আগস্ট) বিকালে গুলশানস্থ ডিএনসিসির নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ‘চিরুনি অভিযান সফল করার লক্ষ্যে কর্মকৌশল’ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ আহবান জানান। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া,উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মহসীন আলী,উপ প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান মৃধা, রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে ডিএনসিসিকে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে। চিরুনি অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ট্যাক্স না বাড়িয়ে, যারা ট্যাক্সের আওতার বাইরে আছে তাদেরকে ট্যাক্সের আওতায় আনা। মোট রাজস্ব বৃদ্ধি পেলে নাগরিক সেবার মানও আরো উন্নত করা যাবে।
উল্লেখ্য, আর্থিক স্বনির্ভরতা অর্জন করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের দোরগোড়ায় পৌছানোর লক্ষ্যে করের হার না বাড়িয়ে করের পরিধি (Tax Net) বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএনসিসি। এ লক্ষ্যে আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল-২ (মিরপুর) এবং অঞ্চল-৫ (কাওরান বাজার) এর সকল ওয়ার্ডে মাসব্যাপী চিরুনি অভিযান শুরু হবে।
ডিএনসিসির অন্যান্য অঞ্চলেও পরবর্তীতে এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। এই চিরুনি অভিযানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, করের পরিধি বাড়ানো; বাদ পড়া হোল্ডিং বা প্রতিষ্ঠানকে করের আওতাভূক্ত করা; রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা; রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা; এবং জনসাধারণকে পৌরকর প্রদানে উৎসাহ প্রদান করা।
চিরুনি অভিযানে কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর/স্থাপনাকে এবং নতুন সৃষ্ট ফ্ল্যাট/বাড়ি-ঘর/স্থাপনা করের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও আইনসম্মতভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় আনা হবে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্রেড লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা ও নবায়নের আওতায় আনা হবে।
চিরুনি অভিযান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আহবায়ক এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে। একজন উপকর কর্মকর্তা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। এই কমিটি কর বহির্ভূত বাড়ি-ঘর এবং ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।