একে আজাদ, দূরবীণ নিউজ :
টেকনাফে বিজিবি’র অভিযানে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে ১ জন ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১১ জুলাই দিবাগত রাতে দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ টেকনাফ স্থল বন্দর সংলগ্ন ১৪ নম্বর ব্রীজের নিকটবর্তী কেয়ারী খাল এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর একটি বিশেষ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২৩৫৫ ঘটিকায় টহলদল দূর থেকে ২ জন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে উক্ত খালের পাড়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখে।
কিছুক্ষণ পর টহলদলটি ১ জন ব্যক্তিকে সাতঁরিয়ে (মিয়ানমার হতে বাংলাদেশ অভিমুখী) নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। সাতঁরিয়ে আসা ব্যক্তি বর্ণিত খালের মুখে আসার সাথে সাথে পুর্বে থেকে অপেক্ষমান ব্যক্তিদ্বয় তার নিকটে এগিয়ে যায়।
উক্ত সময়ে টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই তারা খালের আঁড় ব্যবহার করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে টহলদল তাদের ধাওয়া করলে সশস্ত্র ইয়াবা কারবারীরা বিজিবি সদস্যদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করতে থাকে। ফলে ২ জন বিজিবি সদস্য আহত হয়। এ সময় বিজিবি’র টহলদলটি সরকারী সম্পদ এবং নিজেদের জান ও মাল রক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ০৩-০৪ মিনিট গুলি বিনিময় হয়।
এ সময় স্থানীয় কিছু কৌতুহলী জনসাধারণ উক্ত এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করলে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি’র টহলদলটি গুলি করা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এই সময়ে কতিপয় ইয়াবা কারবারীরা গুলি করতে করতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে খালের আঁড় ব্যবহার করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। গোলাগুলির শব্দ থামার পর টহলদলের সদস্যরা উক্ত এলাকা থেকে ১ জন ইয়াবা কারবারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
গুরুতর আহত ব্যক্তিকে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান করার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে অবস্থানরত কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
উল্লেখ্য, বর্ণিত এলাকাটি তল্লাশী করে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নিকট থেকে ১ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র এবং ১ রাউন্ড তাঁজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ থাকে যে, সাতঁরিয়ে আসা ব্যক্তিসহ নিহতের সঙ্গীয় ইয়াবা কারবারীরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তবে আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি মূলতঃ মিয়ানমারের নাগরিক। বিগত ১০ বৎসর পূর্বে সৌদি আরব হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতঃ টেকনাফ পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড এর নেট্যংপাড়াতে উক্ত ব্যক্তি বসবাস করতে শুরু করে এবং টহলদলের নিকট তার নিম্নেবর্ণিত পরিচয় প্রদান করে। মোঃ সৈয়দ আলম (৩৫), পিতা-মোঃ সৈয়দ আহম্মদ, গ্রাম-নেট্যংপাড়া ০১ নং ওয়ার্ড, ডাকঘর-টেকনাফ, থানা-টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার।
উক্ত ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সরকারী কর্তব্যে বাঁধা প্রদান এবং অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। #
ভালো বিজিবিও তাহলে ক্রসফায়ার দিতে শুরু করেছে