দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘টিকিট না কেটে ঢাকা নগর পরিবহনের বাসে ওঠা যাবে না। এই ধরনের আচরণ কোনভাবেই ঢাকা নগর পরিবহানে বরদাশত করা হবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে ওঠতে হবে। টিকেট ছাড়া এই বাসে উঠলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে চালু হওয়া ২২ নম্বর রুটের যাত্রাপথের বাস পরিচালনাকারীদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তারা যেন গড়ে চালকের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের নিয়ম মেনে যাত্রী ছাউনি অথবা বাস বে থেকে যাত্রীরা টিকিট কেটে বাসে উঠেন। সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদেরকে সেবা দেবে। সেটা আজকের এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।’
মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘এমআরটি’র সাথে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ ২৪ ও ২৫ নম্বর রুট চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘এরই মাঝেই এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটি’র সাথে সমন্বয় করে আমরা নতুন দুটি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়াছে। সেই প্রেক্ষিতে নতুন দুটি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘ এ বিষয়ে বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে। ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট বাস,শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
তিনি বলেন, ‘ সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্রান্স সিলভাকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়ার। সেজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা ও নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সাথে আগের সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করা হবে। বিআরটিসি রাজি হলে, বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ মেট্রোরেলে যাত্রীরা যে র্যাপিড পাস নিয়ে চলাচল করছে সেই পাস দিয়েই নগর পরিবহনের সব বাসে চলতে পারবেন। এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে আজকের মিটিংয়ে। একটি কাডেই নগরবাসী মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহনে চলতে পারবেন।’
ডিএনসিসির বলেন, ‘মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে।’ #কাশেম