দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের মামলায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন গুলশান ও খিলগাঁও থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলার আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জন।
মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান এবং খিলগাঁও থানার ওসি ফারুকুল আলম এ দুঃখ প্রকাশ করেন। গণমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার সুমন পারভেজ এ তথ্য জানান।
গত ২১ অক্টোবর মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু ওইদিন তারা সাক্ষী হাজির করতে পারেননি। এজন্য আদালত তাদের শোকজ করেন। এদিন তারা আদালতে সাক্ষী হাজির করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে এদিন মামলাটিতে মনির হোসেন নামে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৬ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের প্রধান হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এদিন তাদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন একই আদালত। তার আগে ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।#