দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, জলাবদ্ধতা দ্রæত নিরসনে চলতি জুন মাসেই দখলমুক্ত করে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের পুনঃখননের কাজ শুরু হবে। তিনি বলেছেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কার্যক্রমের দরপত্র সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এখানে গড়ে উঠা সবধরনের বড় বড় কারখানা কিংবা ব্যক্তিগত স্থাপনা দখলমুক্ত করা হবে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের সীমানা নির্ধারণ করে পুনঃখননের কাজ শুরু করব’।
বুধবার (৮ জুন) সাপ্তাহিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস নগরীর নর্থসাউথ রোড ও তাতীবাজার মোড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে নর্দমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন ককালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ একর জমি অবমুক্ত করেছি। খালের মুখ যেখানে ১০০ ফুট ছিল, সেগুলো দখল করে তা ৮ ফুট পর্যন্ত কমিয়ে আনা হয়েছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করেছি’। মেয়র বলেন, ‘অবৈধভাবে নির্মিত দশতলা ভবনও আমরা ভেঙে ফেলেছি। সুতরাং যখন আমরা শুরু করব, এখানে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কোনো কারণ থাকবে না। আমরা পুরোটাই দখলমুক্ত করে, অবমুক্ত করে, পূর্ণাঙ্গরূপে আদি বুড়িগঙ্গাকে পূর্বের অবস্থানে নিয়ে আসব, নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব’।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঢাকার আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল বুঝে পাওয়ার আগেই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে ‘সলুইচগেটগুলো’ সংস্কার করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর প্রক্রিয়া বাকি আছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম তো থেমে থাকবে না। আপনারা জানেন সরকারি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় একটু বিলম্ব হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেহেতু হয়েছে, তাই এ ‘সলুইচগেটগুলো’ আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরইমাঝে কীভাবে সেগুলো সচল রাখা যায়, আমরা সেই প্রক্রিয়া নিয়েছি’।
এর আগে নগরীর নাসিরাবাদে অন্তর্র্বতীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আজকের এ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা ৫৩টি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ সম্পন্ন করলাম। আমরা আশাবাদী এ বছরের মধ্যেই বাকিগুলো সম্পন্ন করতে পারব।”
ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, সংশ্লিষ্ট আ লিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #