দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
পুরনো ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত, নিহত স্বজনদের চাকুরী, আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের স্বজনদের জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
বৃহস্পতিবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় নগর ভবনে ব্যাংক ফ্লোর সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ওই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য আর্থিক সহায়তা ছাড়াও নানা সহযোতা করবেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেটি :
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সেই ভয়াল রাত। ২০১৯ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫/টি ভবনের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই সাথে ৭৮ জন মানুষও পুড়ে মারা যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের ২০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে টানা ১৭/১৮ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। তবে ইতোমধ্যে সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
ওই সময় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং সার্বক্ষণিক উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করন প্রশসানের লোকজন। বলার আর অবকাশ রাখেনাওই আগুনে নিহতদের মধ্যে অনেকের পোড়া লাশ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ডিএনএ টেস্ট করেও অনেকের লাশ শনাক্ত করা যায়নি।
ওই সময় ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকার চকবাজার চুড়িহাট্টায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে এবং বিভিন্ন দোকানের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও প্রসাধন সামগ্রীর গুদাম। এমনকি সড়কেও পড়ে থাকে অসংখ্য পারফিউম, এয়ার ফ্রেশনারের কৌটাসহ পলিথিন তৈরির কাঁচামাল।
এদিকে পুরান ঢাকার থেকে সবধরনের রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অভিযানের শুরু করে ছিলেন মেয়র সাঈদ খোকন। কিন্তু ব্যবসায়িদের সহযোগতার অভাবে ওই সময় রাসায়নিকের গুদামগুলো প্রথমে সরানো যায়নি।
পরে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় পাঁচটি ভবন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হবার মেয়র প্রশাসনের সহযোগতায়
“পুরনো ঢাকা থেকে সব কেমিকেল গোডাউন অপসারন করার অভিযানে নামেন। তবে মেয়র সাঈদ খোকনের পক্ষ থেকে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরবাসনের এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। # কাশেম