দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা উৎসব ও আনন্দের পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে জানি।
বৃহস্পতিবা (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাকরাইন/ ঘুড়ি উৎসব-১৪২৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আজ ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবের মাধ্যমে ঢাকার পুরো আকাশকে আমরা করে দিয়েছে রঙিন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানাতে চাই – আমরা আনন্দ করতে জানি, উৎসব করতে জানি, আমাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে জানি।
তিনি আরও বলেন, আজ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে – মাঠে আমাদের ছেলেমেয়েরা উৎসব করছে এবং এই উৎসবে অংশগ্রহণ করছে।
এ সময় সাম্প্রদায়িকতা ও অপশক্তির কবল থেকে বাংলাদেশের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসবকে পুরো দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।
কারণ, একটি জাতির জন্য ঐতিহ্য লালন তার জাতীয়তাবোধের পরিচায়ক, জাতীয়সত্তার পরিচায়ক। এর মাধ্যমে আমরা যেমনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে মোকাবিলা করব তেমনি আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবো। সেজন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণ ও লালনে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অপরিহার্য।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দেখেন আমার ঘুড়িটা কত দূর চলে গেছে – উড়তে উড়তে। সেই আকাশের সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে। আমার কাছে দুটি ঘুড়ি পর্যদুস্ত হয়েছে।
এবারের আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা – সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমি খুবই খুশি, খুবই সন্তুষ্ট। ঢাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দ, উৎসবের মাধ্যমে এ আয়োজনকে রঙিন করে তুলেছে। এই আয়োজন সফল করায় আমি ঢাকাবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
প্রথমবারের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা সমন্বিতভাবে ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করেছি। এখন থেকে প্রতিবছরই আমরা এই আয়োজন করব এবং আগামী বছরগুলোতে এই আয়োজনের কলেবর আরও বৃদ্ধি করা হবে।
ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়াতেন বলে জানিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস ৩০ বছর পরে ঘুড়ি উড়াচ্ছেন বলে জানান।
এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, করোনা মহামারীর মাঝে পুরো পৃথিবী থমকে গেছে। উৎসবের আনন্দে বাংলাদেশ দ্রুতই করোনার প্রকোপ থেকে মুক্তি পাক, মুক্তি পাক সারা পৃথিবীর মানুষ।
এই আয়োজন সফল করায় দক্ষিণ সফল করায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্রীড়া সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটি প্রতি ধন্যবাদ জানান।
পরে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগরীর ৪৬ নং ওয়ার্ডের জহির রায়হান নাট্যমঞ্চে এবং ৪১ নং ওয়ার্ডের ফকির চাঁন কমিউনিটি সেন্টারেও সাকরাইন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও নগরীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, আব্দুল আলীম মাঠসহ বিভিন্ন মাঠে কর্পোরেশনের পক্ষ হতে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি নগরীর পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আয়োজিত নানা আয়োজন উৎসবকে করেছে বর্ণিল। / প্রেস বিজ্ঞপ্তি