দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
রাজধানী উনয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এমআইএস শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জমি রেজিস্ট্রির ফাইল প্রসেসিং এ ঘুষ দাবি এবং বহিরাগত দাদলালদের উৎপাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও মো. আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা রাজউকে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
দুদক কর্মকর্তারা প্রাপ্ত অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য ছদ্মবেশ সকাল ১০ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত রাজউকে আগত সেবা প্রার্থীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন। রাজউকে এসে তারা কি ধরণের দুর্নীতির শিকার হ”েছন তা জানার চেষ্টা করেছেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।
তিনি জানান, রাজউকের চলমান সেবা সপ্তাহে (২৬ ডিসেম্বর ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত) আগত সেবা প্রার্থী মো. আমির হোসেনের সাথে খারাপ আচরণ করায় টিমের সুপারিশে অথরাইজড অফিসার (চলতি দায়িত্ব) তামান্না বিনতে রহমানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলে রাজউক চেয়ারম্যান তাকে তাৎক্ষণিক ও বদলি করেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
তিনি আরো জানান, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এমআইএস শাখায় অভিযান পরিচালনা কালে গত ৬ মাসের নথি পরীক্ষা করা হয়। নথি পরীক্ষার সময় দেখা যায়, দালালদের মাধ্যমেই নথি গুলো আবেদনকারীদের কাছে পৌঁছায়। এরকম কয়েকজন সেবা প্রার্থীর সাথে দুদক টিমের সদস্যরা যোগাযোগ করেছেন।
দুদক টিম জানতে পেরেছেন আবেদনকারীদের পরিচিত দালালদের মাধ্যমেই কাজ করাতে বাধ্য হন। কারণ সরাসরি অফিসারদের কাছে গেলে তাদের ফাইল আটকে যায়। কিছু দালাল প্লট কেনার ব্যবসা করেন এমন একজনকে তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করা হয় । ওই দালালা মোট ১৬টি প্লট ক্রয় করেছেন।
#