দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ সড়ক পরিবর্তন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজধানীর মিরপুর কার্যালয়ে মোটরযানের ফিটনেস যাচাই না করেই সনদ দেওয়া ,ঘুষ কেলেঙ্কারির এবং লোকজনকে হয়রানীসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযেগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিআরটিএ ঢাকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গাড়ির ফিটনেস সনদসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুস দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গণমাধ্যমকে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে, অভিযানকালে প্রথমে বিআরটিএ কার্যালয়ে ছদ্মবেশে অবস্থান নেয় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। পরে ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের (ইঞ্জি.) সঙ্গে অভিযোগগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অভিযোগে উল্লিখিত মোটরযান পরিদর্শকের ব্যাপারে উপ-পরিচালক জানান, মোটরযান না দেখেই গাড়ির ফিটনেস সনদ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে। আনসার সদস্য ও দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন মর্মে দুদক টিমকে জানান।
খোঁজ জানা যায়, অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। কমিশন বরাবর শিগগির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক সজেকা চট্টগ্রাম-১ থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের এ অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনাকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলা হয় এবং সংস্থাটির একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।
জানা যায়, অভিযানকালে ড্রেনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোনো অনিয়ম টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়নি। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম। # কাশেম