দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
গুলিস্তান ‘রেড জোনে’ সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাস্তা এবং ফুটপাতের উপর অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাট ও হকার উচ্ছেদের মাধ্যমে জনসাধারণের হাঁটার পথ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট (নুর হোসেন চত্বর) হতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান। সকাল ১১টা হতে শুরু হয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় ৯ ব্যক্তিকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৯২ ধারার ৭ ও ৮ নম্বর উপধারায় এই জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, “পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরুর পর হতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দিয়ে যান চলাচলের পরিমাণ বেড়েছে।
তাই মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনার আলোকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হয়ে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স এবং বঙ্গভবন ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারগামী ও ফ্লাইওভার হতে গুলিস্তান চত্ত্বর এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই রেড জোন হতে সকল প্রকার হকার এবং রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “গত ৩ দিন এখানে টানা মাইকিং করা হয়েছে। আমরা এখানে কোনও হকার বসতে এবং কাউকে অবৈধভাবে দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করতে দেবো না। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযানকালে করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. এনামুল হক ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন উপস্থিত ছিলেন।
রাস্তা ও পায়ে হাঁটা পথসমূহকে লাল, হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে এর আগে আজ সকালে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক দপ্তর আদেশে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঢাদসিক প্রণীত মহাপরিকল্পনার সাথে সমন্বয় রেখে রাস্তা ও হাঁটার পথ যানবাহন ও জন চলাচলের জন্য নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা করবে। # কাশেম