দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক মালি সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে ৬ বছরের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন বিচারিক বিশেষ জজ আদালত। রায়ে আসামীর অর্জিত ওই অবৈধ অর্থ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ রয়েছে।
রায় ঘোষণাকালে আসামী পারভীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণ েেশষে আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়। রোববার (১৩ ফেব্রæয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী পারভীন আক্তারকে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের ২০০৪ সালের ২৬ (২) ধারায় তিন বছর এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২৭ (১) ধারায় আরও তিন বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ উপায়ে অর্জিত এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। ফলে আসামীকে তিন বছর কারাভোগ করতে হবে।
দুদকের সূত্র মতে, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর একটি পত্রিকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘মালি থেকে কোটিপতি সেলিম মোল্যা’ শিরোনামে অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হয়। সেই অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়।
পারভীন ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দাখিল করা বিবরণীতে তার নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা। তার নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দেখানো হয়।
তবে দুদক অনুসন্ধানে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পারভীন আক্তারের নামে অর্জিত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ টাকা। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত (অবৈধ) সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা পায় দুদক।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় ২০০৪ সালের ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় একটি মামলা করেন। সেলিম মোল্যার বিরুদ্ধেও রমনা থানায় পৃথক মামলা করে দুদক। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর উপ-পরিচালক এম মিছবাহ উদ্দিন তদন্ত করে আসামী পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ছয়জন সাক্ষীর মধ্যে সবার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রোববার ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন।#