দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ক্ষমতাবান শুধু নিজের চিন্তা করে, জনগণের কী হবে তা চিন্তা করেনা। এই খালগুলো জনগণকে নিয়ে আমরা উদ্ধার করবো। জনগণ পাশে থাকলে খাল উদ্ধার হবেই। এই ঢাকা শহরের গার্জিয়ান আছে।
তিনি বলেন, আপনারাই তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন ভোটের মাধ্যমে। কেউ চাইলেই অবৈধভাবে কিছু করতে পারে না। জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারো নেই। খাল দখলদারদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন ,আপনাদের হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তর খানের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মেয়ের আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসির মেয়র আজ দিনব্যাপী পৃথক ৩টি জনসভা য় বক্তব্য রাখেন। প্রথমে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে, এরপর ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এরপর সর্বশেষ ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাথাইড় মাঠে আয়োজিত জনসভায় অংশ গ্রহণ করেন।
জনসভায় মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাশ করে দিয়েছেন। এখানকার রাস্তাগুলো চওড়া হবে, ১৩টি খাল আছে, এগুলোর অনেক জায়গায় দখল হয়ে আছে। এই ১৩টি খাল পুনরুদ্ধার করে উন্নয়ন করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
মেয়র আরো বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গেলে অনেক স্থাপনা ভাঙ্গা পড়তে পারে। ডিএনসিসির ম্যাপিং অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে যার স্থাপনাই থাকুক না কেন, সেগুলো ভেঙ্গে আমাদের রাস্তা করতে হবে। দখলকৃত রাস্তা, খাল উদ্ধারে তিনি জনগণের সহায়তা চান। তিনি আরো বলেন, আমরা খাল উন্নয়নের যে ডিজাইন করেছি, সেখানে খালের দুই পাশে হাটার রাস্তা থাকবে, সেখানে গাছ লাগানো হবে, সাইকেল লেন থাকবে। এটি ব্যক্তিগত কারো জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য।
তিনি বলেন, এই এলাকার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্সের রেট চার্ট করেছি, তবে কোন ঘর-বাড়ি থেকে এখনই ট্যাক্স নেব না; রাস্তা, ফুটপাত ইত্যাদি নির্মাণ করার পরে ট্যাক্স নিব। কিন্তু বাণিজ্যিক প্লট, কারখানা ইত্যাদি থেকে অবিলম্বে ট্যাক্স নেওয়া হবে। ব্যবসা করবেন, ট্যাক্স দিবেন না এটা হতে পারে না। তিনি আরো বলেন, খাস জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক, মার্কেট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নুল আবেদীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম মোল্লা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। # প্রেস পিব্ঝপ্তি