দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
রাজধানীর খামারবাড়ীতে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুক।
সোমবার (২৩ মে) দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে ঢাকা-১ কার্যালয়ে ফৌজদারি দন্ডবিধির ৪২০/ ৪৬৫/ ৪৬৬/ ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯।
প্রথম মামলার অপর ৫ আসামী হলেন, সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ উইং) মো. আবুল হাশিম, সাবেক নার্সারী তত্ত¡াবধায়ক কাজী নুরুল আবছার, উচ্চমান সহকারী বর্তমান উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্মরত মো. আব্দুল হালিম ওরফে মোহাম্মদ আবদুল হালিম, উপজেলা কৃষি অফিসার কক্সবাজার জেলার টেকনাফে কর্মরত মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম জেলার আগ্রাবাদে বর্তমানে উপ পরিচালকের কার্যালয়ে কর্মরত ক্যাশিয়ার ফিরোজ খাঁন।
দুদকের মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলা কৃষি অফিস ও হর্টিকালচার সেন্টারে বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেখিয়ে আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে এবং জালিয়াতির মাধ্যমে মোট ৫ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৮৫- টাকা আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগ তারা উপজেলা কৃষি অফিস/হর্টিকালচার সেন্টার থেকে অর্থ বরাদ্দের চাহিদাপত্র ব্যতিরেকে, অনুমোদন সংশ্লিষ্ট নথিতে উপস্থাপন না করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমোদন না নিয়ে সৈয়দ শরীফুল ইসলাম এবং অপর আসামীদের সাথে পরস্পর যোগসাজসে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে একক স্বাক্ষরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে, আসামীরা বরাদ্দকৃত উক্ত বিশেষ অর্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক কোড সমূহের আওতায় ব্যয় দেখিয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে তারা এ অর্থ ব্যয় না করে কিংবা ক্রয় না করা সত্তে¡ও তারা অর্থ পরিশোধ দেখিয়ে স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি করেছেন। উক্ত বিল পাস করে, অর্থ আত্মসাৎ করা, এ অর্থ আতœসাতে সহযোগিতা করে অর্থ বরাদ্দ করে ওই বরাদ্দ পত্রসহ আনুষাঙ্গিক সমুদয় রেকর্ডপত্র বিনষ্ট করেছেন।
দুদকের পক্ষ থেকে প্রায় ৫৬ লাখ টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে আত্মসাতের অভিযোগে খামারবাড়ীতে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক (অর্থ) সৈয়দ শরীফুল ইসলামসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর-১০ ।
মামলার অপর আসামীরা হলেন, প্রশাসন ও অর্থ উইং এর স্টোর কিপার মো. অলিউল্লা প্রধান , প্রশাসন ও অর্থ উইং এর সিনিয়র হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নাফিসা সরকার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (আয়ন ও ব্যয়ন) মো. আবুল হাসেম, প্রশাসন ও অর্থ উইং এর ক্যাশিয়ার মো. জাহিদ হাসান। আসামীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি দন্ডবিধি ৪২০/৪৬৫/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪০৯/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেছে দুদক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬-২০১৭ এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকাসহ মোট ৫৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা ভূয়া বিল ভাউচারে কম্পিউটার সামগ্রী, সরঞ্জাম, যন্ত্রাংশ ক্রয় না করা সত্তে¡ও স্টক রেজিস্টারে এন্ট্রি দেখিয়ে বিল পরিশোধ দেখিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে ওই অর্থ পরিশোধ করার কোন নজির নেই। #