দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সয়শ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি সামাল দিতে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ তিন সপ্তাহের জন্য রাত্রিকালীন কারফিউ ঘোষণা করেছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ কার্যকর হবে। খবর আহন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ।
কারফিউ ঘোষণা করেছে কুয়েত। রোববার থেকে দেশটিতে কারফিউ জারি করা হয়। বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে। কুয়েত কার্যত গত বৃহস্পতিবার থেকেই লকডাউনে চলে গেছে বলে জানায় আনাদোলু।
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান:
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সুপ্রিম লিডার।
টেলিভিশনে বক্তৃতায় আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি বলেছেন যে আমেরিকা ইরানের “সবচেয়ে বড় শত্রু” এবং এই মহামারির পেছনে আমেরিকাকে দায়ী করছেন তিনি।
ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। “আমি জানি না যে এই অভিযোগ কতটা বাস্তব, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিকে কারা সরল মনে বিশ্বাস করবে যে তোমাদের থেকে ওষুধ নেয়া নিরাপদ? হয়তো আপনাদের ওষুধের মাধ্যমেই ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
কোনো প্রমাণ না দিয়েই তিনি অভিযোগ করেন যে ভাইরাসটি “এই ভাইরাসটি ইরানীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এবং এজন্য তারা বিভিন্ন উপায়ে ইরানীদের জিনগত তথ্য সংগ্রহ করেছে।”
ইরানের ওপর পরমাণু নিষেধাজ্ঞা না তুলে সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবকে আমেরিকা ভণ্ডামি বলে অভিযোগ তুলেছেন অন্যান্য ইরানী কর্মকর্তারা।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত রেকর্ড করা হয়েছে এই ইরানে। যা ২১,৬০০ জনেরও বেশি।
সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৮৫ জনে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ইরানে সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
ফিলিস্তিনে সংক্রমণ:
বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিচ্ছে, গাজা ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসের প্রথম দুজন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর পশ্চিম তীরে দু সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ায় সংক্রমণ:
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়াতে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে, বলছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিটির ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
আরো আতঙ্কের বিষয় হলো; ইতোমধ্যে কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর। শঙ্কা দেখা দিয়েছে জাপানে আসন্ন অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে। করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েক ঘন্টায় বিশ্বে আরো যেসব ঘটনা ঘটেছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ এবং দু’জনের বেশি লোকের সমাবেশকে নিষিদ্ধ করেছে জার্মানি। পুরো পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বে কাজ করছে পুলিশ।
এর আওতায় বিউটি পার্লার, সেলন, এবং ম্যাসেজ স্টুডিওগুলি বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অতি জরুরি নয় এমন পণ্যের দোকান ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।।
রেস্তোরাঁগুলোকে কেবল টেকওয়ে বা খাবার নিয়ে যাওয়া পরিষেবার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ রেস্তোরাঁয় আর বসে খাওয়ার সুযোগ নেই।
দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, “সংক্রমণের হার কমিয়ে আনার ‘সবচেয়ে কার্যকর উপায়’ হল আমাদের ‘নিজস্ব আচরণ'”।
নাগরিকদের নিজের পরিবারের বাইরে বাকি সবার সাথে কমপক্ষে ৫ ফুট দূরত্বে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে মার্কেলের অফিস জানিয়ে যে তিনি নিজেকে কোয়ারেন্টিন করে রাখছেন। এর কারণ ৬৫ বছর বয়সী মার্কেল ভাইরাস আক্রান্ত একজন ডাক্তারের সংস্পর্শে এসেছিলেন। সামনের কয়েকদিন নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং তিনি বাড়ি থেকে কাজ করবেন বলে তার মুখপাত্র জানিয়েছেন। # কাশেম