দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক ) এবার বহুল আলোচিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনকে তলব করেছে । এই পরিবারের সদস্য এবং তাদের স্বজনদের বিরুদ্ধে নানা বিদেশে অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
রোববার (১২ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনকে আগামী ২২ জুলাই হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পাপুলের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব কর হয়েছে বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ অর্জন করে বিদেশে পাচারসহ শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে এমপি পাপুলের স্ত্রী ও তার শ্যালিকার বক্তব্য শোনা প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে হাজির না হলে অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলেও নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে চিঠি দেয় দুদক। আয়কর নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয় এনবিআরেও।
এর আগে গত ২১ জুন পাপুল পরিবারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নথি তলব করে চিঠি দেয় দুদক। এরই মধ্যে কিছু নথি দুদকে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। # কাশেম
নতুন ভার্সন : দুলাভাইয়ের অপরাধের সালি কারাগারে। অপরাধীর শাস্তি হোক এটাই প্রত্যাশা