দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি :
রাজধানীর বনানীর ‘এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলার আসামী রাজউকের অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমান ও সুকুমার চাকমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উচ্চ আদালত একই সঙ্গে ওই আসামীর বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বিচারিক এক বছরের মধ্যে বিচারকাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২২ জুন) দুদকের করা আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বে নির্দেশনাসহ এ আদেশ জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম্ আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খোরশীদ আলম খান।
আদালতের আদেশের বিসয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম্ আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি বলেন, এর আগে দুদকের মামলার আসামী রাজউকের অথরাইজড অফিসার মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন এবং অপর আসামী সুকুমার চাকমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা অব্যাহতি দিয়েছিলেন।
পরে দুদক মিজানুর রহমানের অব্যাহতির বিরপ্রণোদিত) আদেশ জারি করেছিল। আজ ২২ জুন উভয়ের বিরুদ্ধে আগের করা রুলটি খারিজ করা হয়। তাদের এক মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন এবং এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ২৮ মার্চ ‘এফআর টাওয়ারে’ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২৭ জন নিহত হওয়ার পর ওই ভবন নির্মাণে নানা অনিয়মের খবর বেরিয়ে আসে। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে ওই ভবনের জমির মূল মালিক ছিলেন প্রকৌশলী এসএমএইচআই ফারুক। অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড।
নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনটির কয়েকটি তলা বাড়ানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ জুন তাসভীরসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক দুটি মামলা করেন। একটি মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভুয়া ছাড়পত্রের মাধ্যমে ‘এফআর টাওয়ারকে’ ১৯ তলা থেকে বাড়িয়ে ২৩ তলা করা, উপরের ফ্লোরগুলো বন্ধক দেওয়া ও বিক্রির অভিযোগে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্য মামলায় ১এফআর টাওয়ারের’ ১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলা পর্যন্ত বাড়ানোর অভিযোগ করা হয়। ১৯৯০ সালে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে অনুমতি নেয় ‘এফআর টাওয়ার’ কর্তৃপক্ষ। পরে ওই একই নকশা দেখিয়ে ১৯৯৬ সালে ১৫ তলার জায়গায় ১৮ তলা নির্মাণের অনুমোদন নেওয়া হয়। তবে দুদকের মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, ওই অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টিও ছিল ‘অবৈধ’। #