নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স.)কে সকল ধর্ম ও গোত্রের মানুষের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। হযরত মোহাম্মদ (স.) এর অনুকরনীয় আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যেই রয়েছে মানব জাতির শান্তি ও কল্যাণ। নবীজী মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার পর সেখানে মানবিক ও কল্যাণকর একটি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।

প্রশাসক বলেন, নবী করিম (স.) মদীনায় আল্লাহ আইন ও ইসলাম ধর্মের বিধান বাস্তবায়ন করে ছিলেন। মদীনায় নবীজী একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্রে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী রাষ্ট্রে মানুষের মাঝে ভেদাভেদ,হানা হানি, অন্যায়, দুর্নীতি, অবিচার ছিল না। ওই সমাজে জোরপূর্বক অন্যের জায়গা সম্পদ দখল করা, এমনকি রাষ্টেীয় সম্পদ আত্মসাতের ঘটনা বন্ধ হয়েছিল।

প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, নবীজী মানুষের কল্যাণে, রাস্তা, মসজিদ, পানি এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরনে কাজ করেছেন। ঠিক তেমনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের সব কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরাও নগরবাসীর কল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছেন।

রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাদ যোহর ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেঃ জেনাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন.এসইউপি.এসপিপি.এনডিসি.পিএসসি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) শুধু মিলাদ আর অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। নবীজীর শিক্ষা, আদর্শ পরিপূর্ণভাবে ব্যক্তি,সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে বাস্তবায়ন করা উটিত। মুখে বলবেন আর কাজে উল্টাটা করবেন,তা হলে সমাজে ও রাষ্টে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সরকারের উপসচিব বলেছেন, ধর্ম নিয়ে অনেক সময় বাড়াবাড়ি করা হয়। ইসলামি সমাজে মানুষের মাঝে ভেদাভেদ থাকে না। ইসলামের শিক্ষা হলো সকল ধর্মের ও মতের মানুষকে ভালো বাসতে হবে। স্বাগত বক্ত্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বুলেট।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবদুল লতিফ খান (উপসচিব), প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন মিয়া(উপসচিব) , প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ বরকত হায়াত , প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান (উপসচিব),আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (উপসচিব) , আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ছাদেকুর রহমান (উপসচিব),তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর), ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের খন্দকার মাহবুব আলম,কর ও কর কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান,কর কর্মকর্তা,মোঃ রাকিবুল হাসান (মিরাজ),কর কর্মকর্তা শেখ অহিদুজ্জামান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সহ ডিএনসিসির প্রতিটি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত চিলেন।

এছাড়া ডিএনসিসিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহসভাপতি কাজী আলমগীর, সহসভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, সহ সভাপতি মো. মমিন উল্লাহ, সহ সভাপতি মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুল আহসান রেজা (তারেক),যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. গাদ্দাফি হোসেন রবিন, দপ্তর সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন,সমাজ কল্যান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. চাঁদ মিয়া,যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক মো. মিন্টু মিয়াসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
#